বাংলাদেশ জাতীয় দলের মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীকে ঘিরে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনার ঝড়। গত মার্চে ভারতের বিরুদ্ধে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে জাতীয় দলে অভিষেক হয় দেশের এই উজ্জ্বল ফুটবল প্রতিভার। এরপর জুনে ভুটানের বিপক্ষে খেলায় নিজের জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম গোল তুলে নিয়ে নজর কাড়েন হামজা। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফুটবল বিরতির কারণে তার মনোযোগ পুরোপুরি আগামী মৌসুমের ক্লাব ফুটবলের দিকে রয়েছে।
হামজা তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন লেস্টার সিটির অর্থাৎ লিস্টার সিটির একাডেমি থেকে। ২০১৭ সালে তিনি ক্লাবের সিনিয়র দলে প্রথম ম্যাচ খেলেন এবং তার পর থেকে এই সাবেক প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের হয়ে ১০০টিরও বেশি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া বার্টন আলবিয়ন এবং ওয়াটফোর্ডে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে হামজা ঋণ ভিত্তিতে শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দেন। যদিও তাদের দল তৃতীয় স্থানে থাকলেও প্লে-অফ ফাইনালে সান্ডারল্যান্ডের কাছে পরাজিত হওয়ার কারণে প্রিমিয়ার লিগে উঠতে পারেনি।
ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০২৫-২৬ মৌসুমের জন্য হামজা ফিরে যাচ্ছেন তার মূল ক্লাব লেস্টার সিটিতে, যেখানে তার সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি রয়েছে। তবে লেস্টার প্রিমিয়ার লিগ থেকে চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে যাওয়ায় আগামী মৌসুমে হয়তো তাকে অবশ্যই ক্লাবেই খেলা চালিয়ে যেতে হতে পারে।
তবে গ্রীসের নামকরা ক্রীড়া মাধ্যম স্পোর্টস এফএস জানায়, গ্রিক সুপার লিগের ২০২৪-২৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন অলিম্পিয়াকোস বাংলাদেশের এই মিডফিল্ডারকে দলে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যদি হামজা ও অলিম্পিয়াকোসের মধ্যে চুক্তি হয়ে যায়, তাহলে তাকে আগামী মৌসুম চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চে খেলা দেখতে পাওয়া যাবে।
এখন প্রশ্ন থেকে গেল বাংলাদেশের এই প্রতিভাবান ফুটবলার আগামী মৌসুমে কোথায় খেলবেন। লেস্টার সিটির সঙ্গে থাকবেন কি নাকি নতুন একটা চ্যালেঞ্জ নিতে গ্রীসে পাড়ি জমাবেন—এ ব্যাপারে এখনও কিছু নিশ্চিত নয়। তবে ইউরোপিয়ান বড় মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সম্ভাবনা নিঃসন্দেহে দেশের ফুটবলের জন্য এক মহান অর্জন এবং গর্বের বিষয়।