ক্লাব বিশ্বকাপে বোকা জুনিয়র্স ইতোমধ্যে বিদায় নিয়েছিল। যদিও একটু স্বপ্ন ছিল তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিভারপ্লেটের, কিন্তু তারা সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি। ইন্টার মিলানের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে তারা প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে। ফলে আর্জেন্টিনার দুটি দলই বিশ্বকাপ থেকে बाहर হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, ব্রাজিলের তালিকায় ভালো খবর এসেছে। পোয়াবারো ব্রাজিলের দল আফ্রিকার মামেলোদি সানডাউনসের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে, যার ফলে ফ্লুমিনেন্স শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে। এর ফলে ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউটে ব্রাজিলের চারটি দলই প্রবেশ করেছে।
শেষ ষোলোয় যেতে রিভারপ্লেটের ইন্টার মিলানকে হারানো ছিল আবশ্যক। কারণ তারা আগের ম্যাচে মন্তেরের সঙ্গে ড্র করেছিল, যা তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করেছিল। তাই শেষ ম্যাচে জয়ই ছিল তাদের একমাত্র পথ।
তবে ম্যাচের ৬৬ মিনিটে লুকাস মার্তিনেজ লাল কার্ড পাওয়ায় রিভারপ্লেট ১০ জনের দলে পরিণত হয়। এরপর ইন্টার মিলান খেলায় সহজ গোল তুলে নেয়। ৭০ মিনিটে ফ্রান্সেসকো পিও এসপোসিতো গোল করেন, আর যোগ করা সময়ে আলেসান্দ্রো বাস্তোনি দলের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচ শেষে গনজালো মন্তিয়েলকেও লাল কার্ড দেখানো হয়। এই হার দিয়ে রিভারপ্লেট ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়।
অন্যদিকে, মন্তেরে উরাওয়া রেড ডায়মন্ডসকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে, যার ফলে ইন্টার মিলান ও উরাওয়া শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে।
ফ্লুমিনেন্স মামেলোদি সানডাউনসের দায়দায়িত্ব শানিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে। যদিও আফ্রিকান দলের বল দখল এবং আক্রমণে আধিপত্য ছিল, ব্রাজিলের দল দৃঢ় রক্ষার পরিচয় দিয়েছে এবং দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে ফ্লুমিনেন্স শেষ ষোলোয় পৌঁছে গিয়েছে।
ফ্লুমিনেন্সের এই সাফল্যের সঙ্গে ব্রাজিলের সব দলই শেষ ষোলো নিশ্চিত করলো। আগেই পালমেইরাস, বোতাফোগো ও ফ্লামেঙ্গো নকআউটের টিকিট পেয়েছিল।
এখন শেষ ষোলোতে ব্রাজিলের চার দলই রয়েছেন এবং নিশ্চিত যে, অন্তত একজন ব্রাজিলীয় দল শেষ আটে থাকবে। নকআউটের প্রথম ম্যাচেই পালমেইরাস ও বোতাফোগো মুখোমুখি হবে। অন্যদিকে ফ্লামেঙ্গো বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে খেলবে এবং ফ্লুমিনেন্সের প্রতিপক্ষ হবে ইন্টার মিলান। এই ম্যাচগুলো আগামী প্রতিযোগিতায় উত্তেজনা বাড়িয়ে দেবে।