ঢাকা | রবিবার | ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

এআইইউবিকে হারিয়ে শান্ত-মারিয়ামের পিএমসিসি চ্যাম্পিয়নসিপ জয়

তরুণদের উদ্দীপনা, প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যৎ এবং ই-স্পোর্টস সংস্কৃতির বিকাশকে কেন্দ্র করে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো ‘পাবজি মোবাইল ক্যাম্পাস ক্লাব (পিএমসিসি) ল্যান চ্যাম্পিয়নশিপ’। আন্তর্জাতিক স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্সের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সর্ব বৃহৎ গেমিং ইভেন্ট হিসেবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

দেশের ১০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬০০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করে। অনলাইন মাধ্যমে বাছাই পর্বের পর, শীর্ষ ১৬টি দল স্থান পায় ল্যান ভিত্তিক ফাইনাল রাউন্ডে।

ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ফাইনাল পর্বে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলেছে কৌশল, মেধা ও সাহসের লড়াই। এই উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জিতে নেয় শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ‘পিএক্স ইস্পোর্টস’ দল। এই দলের কৃতিত্ব দাঁড়ালো ২০২৫ সালের ‘পিএমসিসি ক্যাম্পাস ক্লাব চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘ইউনিভার্সিটি ক্ল্যাশ চ্যাম্পিয়ন’ দুইটি শিরোপা একযোগে অর্জন করা।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড এবং ইনফিনিক্স বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিজয়ী দলকে ট্রফি এবং উভয় দলের হাতে স্মার্টফোন ও প্রিমিয়াম গেমিং গিয়ার তুলে দেন।

ইনফিনিক্সের একজন মুখপাত্র জানান, “এই প্রতিযোগিতা শুধু একটি গেমিং টুর্নামেন্ট নয়, এটি তরুণদের আত্মপ্রকাশের একটি বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম। আমরা দেখেছি কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে তরুণেরা উঠে এসেছে জাতীয় মঞ্চে। পিএমসিসি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে, যেখানে গেমিং শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং নেতৃত্ব, উদ্ভাবন এবং ক্যারিয়ার গড়ার পথ হতে পারে।”

পুরো আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, গেমার, টেক ইনফ্লুয়েন্সার, ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেন। পিএমসিসি ল্যান চ্যাম্পিয়নশিপ কেবল একটি প্রতিযোগিতা ছিল না, এটি একদিন ব্যাপী গেমিং এবং তরুণ সংস্কৃতির এক উৎসব ছিল। দেশের জনপ্রিয় টেক ইউটিউবার, গেমিং স্ট্রিমার ও ইনফ্লুয়েন্সাররা অনলাইনে পুরো প্রতিযোগিতার উত্তেজনা হাজার হাজার দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।

ইনফিনিক্সের এই উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গেমিংকে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার, কমিউনিটি গঠন এবং সৃজনশীলতার একটি মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরেছে। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের পাশে থাকার দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইনফিনিক্স এগিয়ে যাচ্ছে।