ঢাকা | মঙ্গলবার | ২২শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা সংরক্ষণে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়ন (ডব্লিউইইউ) একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। শুক্রবার ইস্তাম্বুল, তুরস্কে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি সম্পাদিত হয়।

মন্ত্রণালয়ের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সভাপতি নেজমেদ্দিন বিলাল এরদোয়ান স্বাক্ষরকালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হাতে-কলমে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার গুরুত্ব ও সংরক্ষণে দুই পক্ষের অঙ্গীকারের পুনঃপ্রতিজ্ঞা করেন।

স্বাক্ষরের পূর্বে উভয় পক্ষ আন্তরিক পরিবেশে গঠনমূলক বৈঠকে মিলিত হয়ে কাবাডি, কুস্তি, বলিখেলা, নৌকা বাইচসহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাগুলো আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্প্রসারণ এবং প্রচারে একত্রে কাজ করার ব্যাপারে মত বিনিময় করেন। বিলাল এরদোয়ান বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তোলার ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং ফেডারেশনগুলোকে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন।

এর পাশাপাশি তার সংস্থা বাংলাদেশে একটি স্কুল স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন, যা শিক্ষামূলক বিনিময় এবং বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে দুই দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও নিবিড় করবে। এছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার আয়োজন করে তাদের মানসিক অবস্থা উন্নত করার উদ্যোগ গ্রহণে তিনি আগ্রহী।

তুরস্কের তরুণ সমাজ ও সাধারণ জনগণের সাংস্কৃতিক ও জাতীয় পরিচয়ের অগ্রগতি এবং বাংলাদেশে ২০২৪ সালের প্রধান গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রশংসাও তিনি করেন। একই সঙ্গে, গাজায় চলমান হামলার বিরুদ্ধে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের নৈতিক অবস্থান ও মুসলিম বিশ্বের প্রতি সমর্থনকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিশেষভাবে উল্লেখ করেন এবং আন্তর্জাতিক জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

চুক্তি স্বাক্ষরের শেষে আসিফ মাহমুদ সজীব বিয়াল এরদোয়ানকে ২০২৫ সালের গ্লোবাল ইয়ুথ সামিটে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান, যা দুই দেশের যুব ও ক্রীড়া খাতের সহযোগিতা আরও মজবুত করবে বলে প্রত্যাশা প্রকাশ করেন। এই উদ্যোগ ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার আন্তর্জাতিকীকরণ এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।