গোপালগঞ্জ-পয়সারহাট সড়কের কোটালীপাড়া উপজেলার জিরো পয়েন্ট এলাকায় সড়কের ভাঙাচোরা ও খানখন্দের কারণে যাত্রী এবং যানবাহন চালকদের দৈনন্দিন দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েই চলেছে। এ বেহাল সড়ক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে, যা সড়কটি ব্যবহারকারীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে।
গোপালগঞ্জ-পয়সারহাট সড়কটি একটি অত্যন্ত ব্যস্ত সড়ক, যা পায়রা বন্দর থেকে মংলা বন্দরে এবং বরিশাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার সংযোগ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। কোটালীপাড়া উপজেলার পশ্চিমপাড় এলাকায় অবস্থিত এই জিরো পয়েন্ট সড়কের বড় বড় খানাখন্দগুলো শহরের চলাচলকে বিপর্যস্ত করেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এই খানাখন্দগুলো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে, ফলে ছোট যানবাহনগুলো যেমন ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল প্রভৃতি সহজেই গর্তে পড়ে উল্টে যেতে পারে। এর ফলে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি বড় বড় বাস ও ট্রাক চলার সময় ছিটকে আসা পানি পথচারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।
কমলকুঁড়ি বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিসুর রহমান জানান, ‘‘আমরা প্রতিদিন সড়কের ছবিটি চোখের সামনে পোস্টের মতো দেখছি। ছোটখাটো দুর্ঘটনা থেকে বড় দুর্ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে, যেটা সড়ক ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরের সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। কিন্তু মাসের পর মাস সড়কটির এই অবস্থা থেকে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।’’
ভ্যানচালক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘সড়কটির অবস্থা এতটা খারাপ যে, যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত মেরামত না হলে এই সমস্যা আরও বাড়বে।’’
পরিবহন শ্রমিক আলম মিয়া জানান, ‘‘পশ্চিমপাড় সড়কের অর্ধেকেরও বেশি অংশে খানাখন্দ আছে, যেখানে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। বৃষ্টির সময় এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। সড়ক মেরামত জরুরি।’‘
কোটালীপাড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, ‘‘ভাঙ্গা অংশ দ্রুত মেরামত করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে।’‘
অন্যদিকে, গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আজহারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।