ঢাকা | মঙ্গলবার | ২২শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৩ জনের কবর থেকে লাশ উত্তোলন

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সংর্ঘষের ঘটনায় নিহত তিনজনের

লাশ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে জেলার মিয়াপাড়া পৌর কবরস্থান হতে ইমন তালুকদার

ও রমজান কাজির লাশ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়। পরে তাদের লাশ উত্তোলন করে

ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো

হয়। অন্যদিকে, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার কবরস্থান থেকে সোহেল রানা মোল্লার লাশ

উত্তোলন করা হয়েছে।

লাশ কবরস্থান থেকে উত্তোলন কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল

মুন্সী ও রন্টি পোদ্দার। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গোপালগঞ্জ এবং অতিরিক্ত পুলিশ

সুপার (ক্রাইমএন্ড অপস) সহ গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর সাজেদুর

রহমান, এস আই মুরাদ, এস আই শহিদুল ইসলাম, এপিবিএন পুলিশ ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা

উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বুধবারের সংঘর্ষে নিহত চারজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও সৎকার করা হয়।

পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় মারা যান রমজান মুন্সি। পরদিন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত হয়। ময়না তদন্ত শেষে আপনজনদের কাছে

লাশ হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মুরাদ হোসেন ও এস আই শহিদুল ইসলাম উক্ত রমজান কাজী ও ইমন

তালুকদার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০

শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পুনরায় দাফন কর

হবে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। বর্তমানে এলাকার

আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ স্বাভাবিক আছে।

পড়ুন: স্কুলে চলছিল কোচিং, তখনই আছড়ে পড়ে বিমান

ময়নাতদন্ত শেষে আজ পুনরায় তাদের কবরস্থানে কবর দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ রিপোট

লেখা পর্যন্ত  ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়নি বলে জানা গেছে।

গোপালগঞ্জে কাটেনি জনমনের আতঙ্ক       

গোপালগঞ্জে বুধবার (১৬ জুলাই) সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন নিহত হন। নিহত ৫ জনের মধ্যে ৪

জনের নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় পৃথক ৪টি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

এসব  মামলার প্রতিটিতে অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলাগুলোয় মোট আসামি ৬ হাজার।

সদর থানার ৪ উপপরিদর্শক পৃথক পৃথকভাবে মামলার বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন।

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় গোটা জেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে জনমনে কাটেনি

আতঙ্ক। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ও পড়েছে ঘটনার রেশ। সোমবার কারফিউ বা ১৪৪ না থাকলেও

দোকানপাট খোলেনি। নেই তেমন লোকজনের আনাগোনা। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ লোকজনের

চলাচল কিছুটা বেড়েছে।