ঢাকা | রবিবার | ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান স্মরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক এবং বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। আজ বিকেলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হতে যাওয়া এই অনুষ্ঠানের সফল আয়োজনের তথ্য জানিয়েছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা থেকে ভার্চুয়ালি আমাদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বলে আশা করছি।” লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিকাল তিনটায় শুরু হবে উদ্বোধনী সেশন এবং সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে।

এই আলোচনা সভা ৩৬ দিনের কর্মসূচির প্রথম ধাপ হিসেবে পরিকল্পিত, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবীদের প্রতিনিধিরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন ‘গণঅভ্যুত্থান-২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং শহীদ পরিবারের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিশেষ আয়োজন থাকবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন এবং সভার সভাপতিত্ব করবেন রুহুল কবির রিজভী। দলের কেন্দ্রীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে নিহত ও নিখোঁজ বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিবার-পরিজনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং স্মৃতিচারণ করবেন। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও এতে অংশগ্রহণ ও বক্তব্য রাখবেন।

বিএনপি ইতোমধ্যে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত স্মরণীয় ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিজয় মিছিল, মৌন মিছিল, ছাত্র সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার, রক্তদান শিবির, গ্রাফিতি অঙ্কন, পথনাটক, ফুটবল টুর্নামেন্ট, শিশু অধিকার বিষয়ক অনুষ্ঠান, ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ অন্তত ২২টি বিশিষ্ট এবং ভিন্নধর্মী আয়োজন।

এদিকে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ‘আলোর আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল’ শীর্ষক মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই কর্মযজ্ঞের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে। এই কর্মসূচি থেকে স্পষ্ট হয় যে, বিএনপি গণতন্ত্র রক্ষায় তাদের অভিযান ও আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।