জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয় উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির ভূমিকা পালন করবেন। আজ বিকালে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য এই অনুষ্ঠানে তিনি তার বক্তব্য রাখবেন বলে নিশ্চিত করেছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, ‘গণতন্ত্রের মাসা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুলশান থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির মতো অংশগ্রহণ করবেন।’
এছাড়াও লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করবেন। বিকাল ৩টায় শুরু হবে উদ্বোধনী আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান। সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে।
এই আলোচনা সভা ৩৬ দিনের কর্মসূচির প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ কাত রয়েছে। সভার বিষয় শিরোনাম হয়েছে ‘গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এবং সভাপতিত্ব করবেন আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও নিখোঁজ বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবার-পরিজন এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এবং স্মৃতিচারণ করবেন। জাতীয় পর্যায়ের অন্যান্য নেতারাও এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে বিএনপি ইতোমধ্যে ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এতে রয়েছে বিজয় মিছিল, মৌন মিছিল, ছাত্র সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার, রক্তদান কর্মসূচি, গ্রাফিতি অঙ্কন, পথনাটক, ফুটবল টুর্নামেন্ট, শিশু অধিকার সংক্রান্ত অনুষ্ঠান, ডেঙ্গু এবং করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রমসহ মোট ২২টির বেশি নানা ধরনের আয়োজন।
মঙ্গলবার রাতে ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে ‘আলোর আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল’ শীর্ষক মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা এই ৩৬ দিনের কর্মযজ্ঞের সূচনা করেছে।
