ঢাকা | মঙ্গলবার | ২২শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে সাবেক কাউন্সিলর ছালেহা বেগমের বাড়ি থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা লুটপাট এবং ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান এবং জিয়াউর রহমান। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন।

গত সোমবার (৭ জুলাই) রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। উপপরিচালক আবুল হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় এই তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে একাধিক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ১৮ জুন সকালে ওই কর্মকর্তারা ছালেহা বেগমের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। কোনো মাদকবস্তু না পাওয়ায় তারা গাড়ির তেলের ভুক্তানের নামে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন, যার মধ্যে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং বাকি টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। পরে তারা বাড়ির আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্থ করেন এবং প্রায় তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের কথা জানান।

অভিযানে ছালেহা বেগমের আলমারি থেকে ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং তার ছেলের ঘরের আলমারি থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর পর এই অর্থ আত্মসাতের তদন্তে উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিন কর্মকর্তাকে প্রধান কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এই ঘটনা সামাজিক ও প্রশাসনিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং মাদকবিরোধী অভিযান প্রক্রিয়া ও কর্মকর্তাদের দ্বায়িত্ব সম্পর্কেও নতুন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে।