বিএনপি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপি যেকোনো ধরণের অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে এবং দলের কোনো সদস্যই যদি অন্যায়ে যুক্ত থাকে, তাকে সেদিনই ছাড় দেওয়া হবে না।’
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও জানান, ‘যারা অবৈধ, অনৈতিক বা সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দল তৎক্ষণাৎ তদন্ত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না। আমরা গাফিলতি বরদাশত করব না এবং কোনো অপরাধকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’
তিনি বিশেষভাবে সতর্ক করে বলেন, দলের মধ্যে বা বাহ্যিক যেকোনো অবস্থায় সহিংসতা বা অবৈধ কার্যকলাপের কোনো স্থান নেই। ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে যে কোনো অভিযোগ পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। দলের নাম থেকে দুষ্কৃতকারীদের কোনো ছাড় নেই।’
রিজভী জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়মিত দলের কর্মকাণ্ড এবং শৃঙ্খলা রক্ষা মনিটর করছেন। ‘দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা অন্যায় কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আমরা চার থেকে পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘যেকোনো অপরাধ সংঘটিত হলে সেই ব্যক্তি দলের নেতা হোক বা সাধারণ সদস্য—তাকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি দল গঠন করা, যেখানে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী বা বেআইনি কার্যকলাপ স্থান পাবে না।’
একই সঙ্গে রিজভী বলেছিলেন, ‘বিএনপি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। গত ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্র রক্ষায় দলের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে আমরা স্বাধীনভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, তীব্র দমন-পীড়নের মাঝে কখনো আমাদের মনোবল হ্রাস পায়নি।’
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবির কথা পুনরায় তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনই বিএনপির জনপ্রিয়তা সঠিকভাবে প্রতিফলিত করবে এবং দেশকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ এই ন্যায্য প্রত্যাশা থেকেই দল সব ধরনের ব্যতিক্রমী বা নিন্দনীয় কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকবে এবং এগুলো প্রতিহত করতে শক্ত অবস্থানে থাকবে।