ঢাকা | রবিবার | ৩রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

পাটগ্রাম সীমান্তের অভ্যন্তরে ভারতীয় ড্রোনের অনুপ্রবেশ, উত্তেজনা

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভারতীয় ড্রোনের অনুপ্রবেশ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উপজেলার ধবলসুতী ৮২৯ নম্বর মেইন পিলার দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত সীমান্তের

ফুলকা ডাবরি এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ) এই ড্রোন পাঠিয়েছে বলে

অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) আনুমানিক বিকেলে একটি ড্রোন বাংলাদেশের

ভেতরে প্রবেশ করতে দেখে সীমান্তের লোকজন।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই ড্রোনটি মুহূর্তের মধ্যেই চলে যায়। এভাবে বারবার ড্রোনটি

বাংলাদেশের ভূখন্ডে প্রবেশ করে।

এর আগে বিজিবির টহলরত দল সরাসরি ড্রোন দিয়ে মহড়া চালাতে দেখলেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা

নেয়নি। এমনকি ড্রোনটি বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করে চলে যাওয়ার পরও

বিজিবি নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

স্থানীয় জনগনের দাবি, এভাবে ড্রোন আসা বন্ধ করা জরুরি। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান

কামনা করেন স্থানীয়রা। আমি জানি না, আমার বার্তা কতটুকু পৌঁছাবে, তবে এতটুকুই বলব,

আমাদের দেশের উপর ভারতীয় ড্রোন ক্যামেরা আর যেন প্রবেশ না করে, তার জন্য বিজিবি

দপ্তরে অনুরোধ রাখলাম।’

এলাকাবাসী আরও জানান, সীমান্তের জিরো লাইনে ইলেকট্রিক তার দিয়ে সীমানা থেকে মাত্র

৫০ গজের মধ্যে ভারত বৈদ্যুতিক ল্যাম্প পোস্ট স্থাপন করেছে। এসব ল্যাম্পপোস্ট থেকে

তীব্র আলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এলাকায় পড়ে, যা রাতের বেলা স্থানীয় বাসিন্দাদের

জীবনযাত্রা ব্যাহত করার পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষতি করছে। এই আলোকসজ্জা বিএসএফ’র জন্য

সুবিধাজনক হলেও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তবিবর রহমান জানান, ড্রোন

আসার বিষয়টি বিজিবি আগে থেকে অবগত ছিল। এর আগের ক্যাম্প কমান্ডারের কাছ থেকে

জেনেছিলাম যে ভারত ড্রোন পাঠিয়েছিল।

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ জানান, আমাদের বাংলাদেশ

সীমান্তে ভারতীয় ড্রোন যে ওড়ানো হচ্ছে সে বিষয়ে অবগত হয়েছি। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন

কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।

এ বিষয়ে ৬১ বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন বিষয়টি আমাদের পর্যবেক্ষণে

রয়েছে।