ঢাকা | সোমবার | ২৮শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

পার্টটাইম ফুটবলারদের সামনে গোলের ঝড় বায়ার্ন মিউনিখের

ক্লাব বিশ্বকাপের ‘সি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে রোববার রাতে বায়ার্ন মিউনিখ এবং অকল্যান্ড সিটি মুখোমুখি হয়। ওশেনিয়া চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী অকল্যান্ড সিটির বিপক্ষে বায়ার্ন তাদের গোলের বাহারে জয় উৎসবের মেজাজ তৈরি করে। সাচা বোয়ে, মাইকেল ওলিস, মুসিয়ালা এবং থমাস মুলারের গোলের পরে দ্বিতীয়ার্ধে হ্যারি কেইনের পরিবর্তে মাঠে নেমে ২২ বছর বয়সী জামাল মুসিয়ালা হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন।

এই ম্যাচে থমাস মুলার অকল্যান্ডের জালে গোল করে বায়ার্নের হয়ে ২৫০তম গোল স্পর্শ করেন, যা একটি মাইলফলক। পুরো ম্যাচে বায়ার্ন ১৭টি শট গোলে পরিণত করতে না পারলেও গোলবারে পৌঁছে দেয়। অন্যদিকে অকল্যান্ড সিটি মাত্র এক শট গোলবারে রাখতে পেরেছিল, যা জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার রুখে দেন।

এই ম্যাচ বিশ্ব ফুটবলে ইউরোপ এবং ওশেনিয়া ফুটবলের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য তুলে ধরেছে। ক্লাব বিশ্বকাপে এত বড় গোলের হার প্রথমবার দেখা গেল, যদিও আগেও দুই অঙ্কের গোল করেছিল বায়ার্ন। ১৯৭১ সালে বুন্দেসলিগায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ১১-১ এবং ২০২১ সালে আঞ্চলিক লীগের ব্রেমার এসভিকে ১২-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। তবে সবচেয়ে বড় জয় ছিল ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে ডিজেকে ওয়াল্ডবার্গের বিপক্ষে ১৬-১ ব্যবধানে জয়। রোববার রাতে মনে হচ্ছিল সেটি ভাঙবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি।

অকাল্যান্ড সিটির অধিকাংশ ফুটবলারের পেশাগত আয় ফুটবল নয়, তারা পার্টটাইম ফুটবলার। দলের মধ্যে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, একজন বিমা কর্মী, একজন নার্স সহ কোকা-কোলার বিক্রয় প্রতিনিধি, গাড়ি বিক্রেতা ও ছাত্রও রয়েছেন। এই পার্থক্য ম্যাচের গণ্ডগোল ঘটিয়েছে, যেখানে পেশাদার বায়ার্ন মিউনিখের সরবরাহে ফুটবলের এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়েছে।