ঢাকা | শনিবার | ২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

কুমিল্লার মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান

মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের  সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সাংবাদিকদের উপর হামলার

ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) মুরাদনগর থানায় সংবাদকর্মী মো. শাহে ইমরান এই মামলাটি

করেছেন। মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন

পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 

মামলার বাদী মো. শাহে ইমরান কোতোয়ালি থানার পাঁচথুবী এলাকার বাসিন্দা। তিনি দৈনিক

খোলা কাগজ পত্রিকার কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি।

আসামিরা হলেন— মুরাদনগর উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে শুকুর আলী (৩৫),

খামার গ্রাম গ্রামের তাজুল মেম্বারের ছেলে আশিকুল ইসলাম সিদ্দিকী (২১), সিদ্ধেশ্বরী

গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম নাঈম (২৪) ও গুঞ্জর গ্রামের সামাদ মিয়ার

ছেলে কামাল হোসেন (২৫)।

শুক্রবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)

জাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। ঘটনার

পরপরই আসামিরা এলাকা থেকে পালিয়েছে। এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে

তাদের গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমরা।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার বিকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের

আল্লাহ চত্বরে ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তার বাবার বিরুদ্ধে

অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমবেশের আয়োজন করেন তার সমর্থকরা। সমাবেশের

একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় সংবাদ কর্মীরা

হামলার ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেলে একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলার

ঘটনায় ৭ জন সাংবাদিক আহত হন। হামলার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা, মুঠোফোন ও নগদ অর্থ

ছিনিয়ে নেন অভিযুক্তরা।

মো. শাহে ইমরান বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের

মারধরের পাশাপাশি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’