ঢাকা | মঙ্গলবার | ২৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

মেসির জার্সি বিক্রিতে শীর্ষে, তালিকায় আছেন এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলরও

২০২৩ সালের মধ্যভাগে লিওনেল মেসি যখন ইন্টার মিয়ামির জার্সিতে নাম লেখালেন, তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল অর্থনীতিতে আগের চেয়ে অনেক বড় পরিবর্তন এসেছে। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) আয় বেড়েছে, পাশাপাশি টিকিট বিক্রিও লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রত্যাশিতভাবেই, মেসির জার্সি বিক্রি তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। একযোগে তিন মৌসুম ধরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের জার্সিই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। এমএলএসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সম্প্রতি এই তথ্য জানানো হয়েছে। এমএলএস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১ মে পর্যন্ত লিগের খেলোয়াড়দের মধ্যে মেসির জার্সি সবচেয়ে বেশি ক্রয় হয়েছে। এই সময়কালে এমএলএস স্টোর থেকে বিক্রি হওয়া জার্সির তথ্য বিশ্লেষণ করে ক্রীড়া সামগ্রীর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ফ্যানাটিকস একটি র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে।

এমএলএস মৌসুমে মেসির পরই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে তার সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের জার্সি। বিশেষ নজর পড়েছে শীর্ষ বিশের মধ্যে থাকা এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলরে ওপর। ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের ১৫ বছর বয়সী মিডফিল্ডার কাভান সুলিভান এই তালিকায় ১৮তম স্থান দখল করেছেন। বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরুরও (১৯ নম্বর) তুলনায় কাভানের জার্সি বেশি বিক্রি হয়েছে। এমএলএসের সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলরদের মধ্যে কাভানের জার্সি সমর্থকেরা সবচেয়ে বেশিতে কিনেছেন।

বর্তমানে চলমান ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলছে ইন্টার মিয়ামি ও সিয়াটল সাউন্ডার্সের চারজন করে মোট আটজন খেলোয়াড়, যারা শীর্ষ ২৫ জার্সি বিক্রির তালিকায় স্থান পেয়েছেন। সামগ্রিকভাবে ১২টি ক্লাবের ফুটবলরাই এই শীর্ষ ২৫ তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে।

এমএলএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “মেজর লিগ সকারের ভক্তদের হৃদয় জয় করে চলছেন মেসি। তিন বছর টানা তিনি এমএলএস জার্সির সর্বাধিক বিক্রিত খেলোয়াড়।”

মেসি এবং সুয়ারেজের নাম শীর্ষ দুইয় থাকার বিষয়টি ইন্টার মিয়ামির জন্য বড় সুখবর হলেও, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্স খুব একটা ইতিবাচক নয়। গত রোববার মায়ামি মিসরীয় ক্লাব আল আহলির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র ম্যাচ খেলে। ‘এ’ গ্রুপের অন্য এক ম্যাচে এফসি পোর্তো এবং পালমেইরাসও ড্র করায় মায়ামির অবস্থান পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে নেমে গিয়েছে।

গত রাতে এফসি পোর্তোর বিপক্ষে ম্যাচের আগে মেসি অনুশীলন ক্যাম্পে বাম পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ের টান অনুভব করেন। তখন মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাচেরানোর সঙ্গে মেসির কিছুক্ষণ একান্ত আলাপ হয়, সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং ভক্তদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করে। তবে ম্যাচের পূর্বে সংবাদ সম্মেলনে মাচেরানো মজা করেই বলেছিলেন, “একজন মানুষ মাঝে মাঝে আরেকজনকে ছোঁয়াও তো স্বাভাবিক।” তিনি সবার উদ্বেগ দূর করে জানিয়েছেন, “লিওনেল পুরোপুরি সুস্থ এবং পুরো অনুশীলনে অংশ নিয়েছে। সে এফসি পোর্তোর বিরুদ্ধে খেলতে প্রস্তুত।”