ঢাকা | রবিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল: ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল ডামি নির্বাচন

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ২০২৪ সালের নির্বাচনকে ‘ডামি’ বা প্রহসনের নির্বাচন বলে আদালতে ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, ওই নির্বাচন ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় সংঘটিত একটি নাটকীয়তা, যা জনগণের সামনে ধাঁচা ভাঙার মতো।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে শুনানিতে এসব বক্তব্য প্রদান করেন হাবিবুল আউয়াল। আদালতের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অতীতে কোনো প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেননি, তাই তিনি নিজেও পদত্যাগ করেননি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের নির্বাচন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের নির্বাচনেও অনিয়ম ছিল।

আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন, যিনি প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনার অভিযোগে গত বুধবার মগবাজার থেকে গ্রেপ্তার হন। মামলার তদন্তের জন্য পুলিশ তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল, যা শুনানির পর বাতিল করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এর আগে গত রোববার একই মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাও গ্রেপ্তার হন এবং চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

বিএনপির নির্বাহী সদস্য সালাহ উদ্দিন খান গত রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন, যেটিতে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ২৪জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, মো. আব্দুল মোবারক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সহ বিভিন্ন শীর্ষ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন।

মামলার দাবি অনুসারে, এসব নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং তা একটি সুশীল ও স্বচ্ছ জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে অনেক দূরে ছিল। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ষড়যন্ত্র করা হয়েছে যা দেশে গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা কমিয়েছে।