ঢাকা | রবিবার | ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটে পাথর লুটের মামলায় ২ হাজারের বেশি অজ্ঞাতনামা আসামি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে অবৈধভাবেই পাথর উত্তোলন ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) শুক্রবার (১৫ আগস্ট) কোম্পানীগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করে। মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গেজেভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অননুমোদিত পাথর উত্তোলন এবং কোটি কোটি টাকার পাথর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, পাথর লুটপাটে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্তত ১৫০০ থেকে ২০০০ জন জড়িত, যাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। সরকারি গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা লংঘনের শামিল।

এ বিষয়ে উচ্চ কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা দায়ের করা হয়। ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে পাথর লুট ও চুরির অভিযোগ তদন্ত করে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার অনুরোধ করা হয়েছে।

সম্প্রতি সিলেটের দুই পর্যটনকেন্দ্র, কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর এবং গোয়াইনঘাটের জাফলং থেকে পাথর লুট হওয়া ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। হাইকোর্ট পাথর উদ্ধার করে তা যথাস্থানে প্রতিস্থাপন এবং লুটেরাদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।

এরপর থেকে সিলেটসহ সারাদেশে র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযানে নামে। মাত্র তিন দিনে জাফলং ও সাদাপাথর থেকে মোট এক লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারকৃত ৪০ হাজার টন পাথরও রয়েছে।

সর্বশেষ সিলেট জেলায় জৈন্তাপুর থানার আসাম পাড়া এলাকায় র‌্যাব-৯ ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। এই অভিযানে সাদা পোশাকধারী সদস্যরাও অংশ নেন।

সরকারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং পাথর লুটের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।