বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে নামকরা ডাকাত শাহীনুর রহমান ওরফে শাহীনকে কক্সবাজার আদালতের হাজতে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার ঘটনায় দুইজন টিএসআইসহ মোট পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব অবহেলার কারণে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামিদের হাজতে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর আদালত হাজতের নিরাপত্তা আরও কড়া করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন টিএসআই – সুরেন দত্ত ও আবদুল ওয়াহেদ, এবং তিনজন কনস্টেবল – নাজম হায়দার, গোলাম মোস্তফা ও ইয়াছিন নূর।
গত শুক্রবার এই ঘটনায় তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মোবাইল ফোনটি আবিষ্কৃত ঘটনা ঘটে গত বুধবার ৯ জুন, যখন আদালতে হাজিরার সময় শাহীনকে হাজতখানা থেকে বের করে আনা হচ্ছিল। তখন তার পকেটে থাকা মোবাইল ফোন কক্সবাজারের গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসে। সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শাহীনের গ্রেপ্তারের পেছনের ঘটনা জানা গেছে, গত ৫ জুন সকালে কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শাকের আহমদের বাড়ির আশেপাশে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডাকাত শাহীনের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ অন্তত ২০টি মামলা দায়ের রয়েছে।
কক্সবাজার আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন।