ঢাকা | সোমবার | ২৮শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

১৫ বছর পর আবার চালু হচ্ছে অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা

১৫ বছর বন্ধ থাকার পর এবার আবারো অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা চালু হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং সম্প্রতি একটি সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালুর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে এইবারের পরীক্ষাটি গত কয়েক বছর ধরে নেয়া হয় না এমন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার আদলে হবে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব জানান, ২০ জুলাই মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে বৃত্তি পরীক্ষা পুনঃপ্রবর্তনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার সভাপতিত্ব করেন।ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

গত বছর ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের পরও জুনিয়র স্তরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেওয়া হয়নি এবং বৃত্তি পরীক্ষা হলেও নেয়া হয়নি। এবার দীর্ঘ দিন পর অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষা ফের চালু হতে যাচ্ছে। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর নিশ্চিত শতাংশ এখনো চূড়ান্ত হয়নি, কারণ নতুন নীতিমালা এখনও প্রণয়নাধীন রয়েছে।

আগে বৃত্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করত। সর্বশেষ ২০০৯ সালে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে জায়গা পায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা, যা পাবলিক পরীক্ষার মতো অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু এই পরীক্ষার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কোচিং নির্ভরতা বৃদ্ধি পায়, যা সমালোচনার কারণ ছিল। ২০২৩ সালে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না নিয়ে একাধিক মহল পরীক্ষাটি বাতিলের দাবি জানায়।

সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষাও ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরে তা অনুষ্ঠিত হবে। এবার অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় শুরু হওয়ার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে আরও বেশি কার্যকরি ও মানসম্পন্নভাবে। এটি শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা যাচাই ও সঠিক শিক্ষা গুণগত মান নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।