ঢাকা | সোমবার | ২৮শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

১৫ বছর পর আবার চালু হলো অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা

১৫ বছর পর অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা আবার চালু করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং এ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সভাও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আদর্শ পাবলিক পরীক্ষার মতো নেওয়া হচ্ছিল না, সেই পরীক্ষা চালু হয়নি চলতি বর্ষেও। কিন্তু এবার ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী বৃত্তি পরীক্ষা পুনঃপ্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব জানান, ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত সভায় বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার এবং উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।

আগের বৃত্তি পরীক্ষায় অষ্টম শ্রেণির নির্দিষ্ট শতাংশ শিক্ষার্থীকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো, তবে নতুন নীতিমালা এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় কত শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন তা এখনো ঠিক হয়নি।

২০০৯ সালের পর থেকে বৃত্তি পরীক্ষার পরিবর্তে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা পরবর্তী বছরগুলোতে চালু ছিল। তবে এই পরীক্ষাগুলো পাবলিকের মতো নেওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপর কোচিং নির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিভিন্ন মহল থেকে এই পরীক্ষা বাতিলের দাবি উত্থাপিত হয়। ২০২৩ সালে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করে বর্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণির মূল্যায়ন করা হয় এবং গত বছরও এই পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালুর পর এবার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্যও এই পরীক্ষা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে তার জন্য প্রস্তুতি শুরু হবে। আশা করা হচ্ছে, এই পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের সার্বিক শিক্ষাগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।