ঢাকা | শুক্রবার | ২৫শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

অশোক প্রকাশ না করলে আওয়ামী লীগ শান্তি পাবে না: শফিকুল আলম

প্রধান উপদেষ্টা দলের প্রেস সচিব শফিকুল আলম নেতৃবৃন্দ, সদস্য ও সমর্থকদের উদ্দেশে জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা জুলাই বিপ্লবে নিহত ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে দুঃখ প্রকাশ করবে না, ততক্ষণ আওয়ামী লীগ শান্তি পাবে না। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘‘আমরা মাটি থেকে আপনারা সৃষ্টি করা কালো দাগগুলো মুছে ফেলব, রক্ত দিয়ে ধুয়ে ফেলব। কিন্তু আপনারা কখনো শান্তি পেয়ে যাবেন না যতক্ষণ না শহীদ ও আহতদের প্রতি সম্মান দেখান এবং আন্তরিকভাবে ‘দুঃখিত’ বলেন।’’

শফিকুল আলম বলেন, ‘‘গত প্রায় দশ মাস ধরে আমরা অপেক্ষা করছি, যেন আওয়ামী লীগের নেতারা, সদস্য ও সমর্থকরা নিজেদের ভুল স্বীকার করে, দুঃখ প্রকাশ করে এবং একটি বৈষম্যহীন, সকলের জন্য উন্নত বাংলাদেশ গঠনে আমাদের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু গত বছরের জুলাই থেকে দেখা গেছে, তারা শহীদদের প্রতি অবজ্ঞা করেছে, আমাদের সংগ্রামকে হেনস্তা করেছে এবং ১৭ কোটি মানুষের প্রতি কলঙ্কজনক ভাষায় ‘জঙ্গি’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের এই আচরণ পুরোপুরি অবিচার ও সীমাহীন অন্যায়—যদিও তারা আশা করে ঔপনিবেশিক প্রভুরা আবার এসে তাদের হাতে দেশ তুলে দেবে, যেন তারা আবার লুণ্ঠন এবং বিশৃঙ্খলার নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘এবার আর সেটা হবে না। জুলাই আমাদের সাহস দিয়েছে। জুলাই আমাদের শিখিয়েছে প্রতিকূলতার মুখে মাথা তুলে দাঁড়ানোর শক্তি। আমাদের রক্তে এখন স্থায়ীভাবে বিরল এক সাহসের বিবরণ প্রবেশ করেছে। আমরা আর আগের মতো নই।’’

শফিকুল আলম যোগ করেন, ‘‘জুলাই আমাদের ধরে রেখেছে দৃঢ়তায়, গুলির ঝড়ের মাঝেও দাঁড়িয়ে থাকার সাহসে। এটি আমাদের ভুলতে দেয় না শহীদদের কথা, যাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, যাদের চোখ উপড়ে নেয়া হয়েছে, যাদের আত্মাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে।’’

তিনি আওয়ামী লীগকে সতর্ক করেন, ‘‘আপনারা ‘দুঃখিত’ না বললে আপনারা কখনো শান্তি পাবেন না। আপনাদের উচিত আয়নায় দাঁড়িয়ে আপনার নিজের হাতে রক্তের দাগ দেখা এবং তার পর আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করা।’’

মানবতাবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘‘আমরা আপনার বিরুদ্ধে লড়াই করব—মাটি, নদী, পাহাড়ের প্রতিটি কোণে, ভার্চুয়াল জগতেও। আপনারা গণহত্যার সহযোগী, মানবাধিকারের শত্রু; আমরা আপনাদের মুখোশ খুলে মানুষের সামনে তুলে ধরব।’’