ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হিসেবে আইপিএল সবার প্রতি আকর্ষণ তৈরি করেছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে অসাধারণ উন্নতি, ব্র্যান্ড ভ্যালু ও নানা সুবিধার সমন্বয়ে ভারতের এই প্রতিযোগিতার তুলনা ভারতে অন্য কোনো লিগের সাথে করা যায় না। দিন দিন আইপিএলের ব্যবসায়িক মূল্য ক্রমশ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক হুলিহান লোকির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুর্নামেন্টটির মূল্য ১২.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এই উন্নতির পাশাপাশি, টাটা গ্রুপ আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে তাদের চুক্তি ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এই পাঁচ বছরের চুক্তির মূল্য প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি রুপির সমান।
২০২৫ সালের আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বিরাট কোহলি ও রজত পাতিদারের নেতৃত্বাধীন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দল। তাই স্বাভাবিকভাবেই বেঙ্গালুরুর ব্র্যান্ড ভ্যালু সর্বোচ্চ। বর্তমানে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্র্যান্ড ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৬৯ মিলিয়ন ডলারে, যা গত বছরের ২২৭ মিলিয়নের থেকে অনেক বৃদ্ধি।
বেঙ্গালুরুর পরেই অবস্থান মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের, যার ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ে ২০৪ মিলিয়ন থেকে ২৪২ মিলিয়ন ডলারে। অন্যদিকে, চেন্নাই সুপার কিংসের বাজার মূল্য কমে ২৩৫ মিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে।
সবচেয়ে বেশি ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধির কৃতিত্ব পাঞ্জাব কিংসের, যাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৩৯.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৪১ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যদিও তারা সাম্প্রতিক আসরে রানার্সআপ হয়েছিল, তবে দলের ফর্ম বেশ প্রশংসনীয় ছিল। শ্রেয়াস আইয়ার নেতৃত্বাধীন এই দল ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফলপ্রাপ্তির আশা জাগিয়েছে।
সার্বিকভাবে আইপিএল শুধু ক্রিকেটেরই নয়, ব্যাবসায়িক সফলতারও নজির স্থাপন করেছে, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করছে।