ঢাকা | শুক্রবার | ২৫শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

আগামী অর্থবছরে ৭.০৫ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষ বাড়ানো হবে

২০২৫-২৬ অর্থবছরে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭.০৫ লাখ হেক্টর জমিতে। এই পরিমাণ জমিতে পাট চাষ করার জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টন পাট বীজ। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) আয়োজিত ‘বার্ষিক অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায়’ এসব তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশে পাটের মোট উৎপাদন বর্তমানে ১৫ লাখ মেট্রিক টন, পাটকাঠির উৎপাদন ৩০ লাখ মেট্রিক টন এবং চারকোল উৎপাদন ৬ লাখ মেট্রিক টন।

কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান কর্মশালায় বলেন, ‘পাট শিল্পে আরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই সম্ভাবনার শেষ নেই। অন্যান্য দেশের কাঁচা পাট ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করে আমাদের বাজারের চাহিদা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘গবেষণায় স্বাধীন চিন্তা নিয়ে কাজ করতে হবে। সীমিত জমিতে কীভাবে পাট উৎপাদন বাড়ানো যায় তা নিয়ে বিশেষভাবে গবেষণা চালাতে হবে।’

বিজেআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. নার্গীস আক্তার বলেন, ‘পাট একটি কৃষিজাত পণ্য হিসেবে কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কৃষির উন্নয়নের জন্য পাটঋণসহ নানা প্রণোদনা এবং রপ্তানিতে সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। দেশে প্রায় ৫০টি চারকোল কারখানা রয়েছে, যদিও কিছু কারখানা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।’

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা অনুবিভাগ) মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গবেষকরা।

বিজেআরআইয়ের প্রজনন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম মোস্তফা স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং জিনোম গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. এস এম মাহবুব আলী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

এই কর্মশালা পাট উৎপাদন বৃদ্ধি ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের কৃষিক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।