ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ১৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

আধুনিক বাতির আলোকছায়ায় বদলে গেছে নওগাঁর মান্দা শহর

নওগাঁর মান্দা উপজেলা পরিষদের নবনিযুক্ত ইউএনও শাহ আলম মিয়ার দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে উপজেলা চেহারা বদলে গেছে তার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও আন্তরিকতার কারণে। সামান্য প্রচেষ্টা ও ইতিবাচক মনোভাব, সঙ্গে সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে মান্দার সড়কগুলো আধুনিক রঙিন এলইডি স্ট্রিট লাইটে আলোকিত হয়েছে। উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় চৌরাস্তাসহ ফেরিঘাট পর্যন্ত অবস্থিত অন্ধকার সড়কগুলোতে নতুন স্ট্রিট লাইট সংযোজন হয়ে এখানকার পরিবেশে যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমনি সন্ধ্যার পর যানবাহন ও পথচারীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করেছে।

নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের ফেরিঘাট ব্রিজের ওপরেও আধুনিক রঙিন বাতি স্থাপন করা হয়েছে, যা রাতে নদীবেষ্টিত ঐ এলাকা যেন আলোর নগরী রুপ ধারণ করেছে। এছাড়াও দীর্ঘ দিন বেহাল পুরোনো ভবনগুলো টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভেঙে নতুন আধুনিক বহুতল ভবনে উপজেলা দপ্তর স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ কাজ চলছে এবং ভবনের অভ্যন্তরে রাস্তা নির্মাণসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।

৫০০ বছরের ইতিহাসসমৃদ্ধ কুসুম্বা মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সীমানা প্রাচীর তৈরি, আধুনিক রাস্তা ও দিঘি সংলগ্ন সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের আশেপাশে ছাগল ও মুরগি জবাইয়ের জন্য আধুনিক জবাইখানা স্থাপন এবং সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও মসজিদে আসা মানুষ들의 সুবিধার জন্য রান্নাঘর সংস্কার এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার ও পিআইও অফিসের সহায়তায় উপজেলা বিভিন্ন সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে, যা মানুষের চলাচলে ব্যাপক সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

ইউএনও শাহ আলম মিয়া যুব সমাজকে মোবাইল আসক্তি ও মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে ১৪টি ইউনিয়নে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথম পুরস্কার হিসেবে মোটরসাইকেল বিতরণ করেন। তিনি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাজের প্রতি উদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য মূল্যায়ন ও পুরস্কার ব্যবস্থা করেছেন।

শাহ আলম মিয়া নিজে ‘মনোহরা মান্দা’ নামে একটি লেখনি থেকে মান্দার সত্যিকারের চিত্র তুলে ধরেছেন, যেখানে তিনি ছোট গল্প ও কবিতার মাধ্যমে স্থানটির সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য বর্ণনা করেছেন।

ইউএনও বলেন, ‘‘আমার কখনও মনে হয়নি মান্দা আমার না। আমি সব সময় মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের কথা শুনে কাজ করার চেষ্টা করেছি। মান্দাকে আধুনিকায়নের জন্য যা কিছু সম্ভব করেছি। আমার অফিসে এসে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি, সাংবাদিক বা সাধারণ মানুষ আমার থেকে সাক্ষাৎ ব্যতিরেকে যায়নি। মান্দার নদী, বিল, অদ্ভুত আকৃতির রাস্তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। মান্দায় যা কিছু আছে তা অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমি যেকোনও জায়গায় থাকুন না কেন, মান্দার খবর রাখা আমার দায়িত্ব হবে।’’