ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলা: অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ আগস্ট

২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা করে

লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের

শুনানি শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ

ট্রাইব্যুনাল-২ এর তিন সদস্যের বেঞ্চ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২১

আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।

ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর

মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী

মোনাওয়ার হুসাইন (এম এইচ) তামীম।

প্রসিকিউটর গাজী তামীম সাংবাদিকদের জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে

যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। আগামী ২১ আগস্ট আদালত নির্ধারণ করবেন আসামিদের বিরুদ্ধে

অভিযোগ গঠন হবে নাকি তারা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবেন।

এ মামলার ১৬ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা আটজন হলেন—ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত

পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক,

এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল হোসেন এবং কনস্টেবল মুকুল।

অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ বাকি আটজন পলাতক রয়েছেন। তাদের

পক্ষে দুইজনকে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে ছয় তরুণ নিহত হন। এরপর তাদের লাশ

পুলিশ ভ্যানে তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই সময় একজন

ভুক্তভোগী জীবিত ছিলেন। তাকেও পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পর ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের

অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ১৭৩ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে

প্রসিকিউশন। গত ২ জুলাই আদালত সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ

আমলে নেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে পাঁচজনকে গুলি করে

হত্যা করা হয় এবং আরও একজন গুরুতর আহত হন। পরে ওই আহত ব্যক্তিসহ ছয়জনকে পুলিশের

গাড়িতে তুলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

নিহতরা হলেন— সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুসতামি,

আবুল হোসেন এবং এক অজ্ঞাত ব্যক্তি।