ঢাকা | রবিবার | ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও মানসম্পন্ন নির্বাচনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন process প্রস্তুত করতে ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরোর একটি সহায়তা প্যাকেজ প্রদান করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান মাইকেল মিলার। তিনি বলেছিলেন, এই অর্থ সাহায্য বাংলাদেশের জন্য নির্বাচন পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে ইইউ প্রতিনিধি দলের এক বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ ঘোষণা দেন। মাইকেল মিলার আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করছে যেন একটি গণতান্ত্রিক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হয়। তিনি জানান, তারা ২০২৬ সালের মধ্যে একটি সময়সীমা নির্ধারণের বিষয়েও ভবিষ্যত পরিকল্পনা করছে।

প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, এখন মূল লক্ষ্য হলো আসন্ন নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বাস্তবসম্মত ও অবিলম্বে নেওয়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভُত করা। তিনি জানান, ইইউ এই ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা এবং সহযোগিতা কাজে লাগাচ্ছে। তারা চাচ্ছে প্রতিটি নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হোক, অবাধ ও সুষ্ঠু থাকুক।

মিলার আরও বলেন, তারা শুধু নিজের দল বা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নয়, বরং ইউরোপীয় পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কাজ করছেন। যাঁরা নির্বাচনী পর্যবেক্ষণে নিবদ্ধ থাকবেন এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের নির্ভরযোগ্য ও স্বচ্ছ ভোটাভুটি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবেন।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে সরাসরি সহায়তা প্রদান করে নির্বাচনী ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে—যাতে অপারেশনাল পরিকল্পনা, বিরোধ নিষ্পত্তি ও অন্যান্য জরুরি ক্ষেত্রগুলো শক্তিশালী হয়।

মাইকেল মিলার বলেন, তাদের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সম্ভাব্য নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ মিশনে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তারা ভবিষ্যতে অস্থায়ী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সাথে এসব বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে।

গোচর া যে, আগামী মাসে একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে, যাতে দেখা যায় এখানে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি না। তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এখন একটি গভীর রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ও এখানে অনেক বিষয় সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি শেষে বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন থেকে গণতান্ত্রিক নির্বাচন পরিচালনার অভিজ্ঞতা রাখলেও সাম্প্রতিক কিছু নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতার দিক থেকে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। তবে, তিনি নিশ্চিত করেন, এই বিষয়গুলো সমাধানের জন্য পরিবেশ তৈরির ব্যাপারে তারা কাজ করছে।