তরুণ প্রজন্মের উদ্দীপনা, প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যত এবং ই-স্পোর্টস সংস্কৃতির বিকাশকে সামনে রেখে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ‘পাবজি মোবাইল ক্যাম্পাস ক্লাব (পিএমসিসি) ল্যান চ্যাম্পিয়নশিপ’। আন্তর্জাতিক স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্সের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সবচেয়ে বড় গেমিং ইভেন্ট হিসেবে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
দেশের ১০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬০০টির বেশি দল অংশগ্রহণ করে এই প্রতিযোগিতায়। অনলাইন বাছাই পর্বের মাধ্যমে সেরা ১৬ দল চূড়ান্ত ল্যান রাউন্ডে পৌঁছে। ল্যান ভিত্তিক এই ফাইনাল পর্ব ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দলগুলি তাদের কৌশল, মেধা ও সাহসের মাধ্যমে কঠোর প্রতিযোগিতা করে ভক্তদের মুগ্ধ করে।
ফাইনালে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) কে পরাজিত করে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পিএক্স ইস্পোর্টস’ দল চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জেতে। তারা ২০২৫ সালের ‘পিএমসিসি ক্যাম্পাস ক্লাব চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘ইউনিভার্সিটি ক্ল্যাশ চ্যাম্পিয়ন’ দুইটি খেতাব একযোগে অর্জন করে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড এবং ইনফিনিক্স বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি প্রদান করেন। পাশাপাশি উভয় দলের খেলোয়াড়রা ইনফিনিক্স স্মার্টফোন এবং প্রিমিয়াম গেমিং গিয়ার লাভ করেন।
ইনফিনিক্সের একজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, “পিএমসিসি কেবল একটি গেমিং প্রতিযোগিতা নয়, এটি তরুণদের আত্মপ্রকাশের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। আমরা এনেছি এমন ব্যবস্থা যা প্রতিটি ক্যাম্পাস থেকে গেমারদের জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এখানে গেমিং শুধু বিনোদন নয়, নেতৃত্বের বিকাশ, উদ্ভাবন এবং ক্যারিয়ার গড়ার একটি পথ।”
এই আয়োজনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, গেমার, প্রযুক্তি ইনফ্লুয়েন্সার, ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও মিডিয়ার ব্যক্তিত্ব অংশ গ্রহণ করেন। পিএমসিসি ল্যান চ্যাম্পিয়নশিপ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এক দিনব্যাপী গেমিং-সংস্কৃতির উৎসব হিসেবে উদ্যাপিত হয়েছে। দেশের জনপ্রিয় টেক ইউটিউবার এবং গেমিং স্ট্রিমাররা অনলাইনে সারা আয়োজনের উত্তেজনা দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করেন।
ইনফিনিক্সের এই উদ্যোগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গেমিং কে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার, কমিউনিটি গঠন এবং সৃজনশীলতার মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরেছে। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের পাশে থাকার দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকার নিয়ে ইনফিনিক্স এগিয়ে যাচ্ছে।