জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সম্প্রতি ৯ হাজার ৩৬১ কোটি ৯২ লাখ টাকার ব্যয় ধরা ১১টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পগুলোর সরকারি অর্থায়ন রয়েছে ৬ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা, প্রকল্প ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৪২৮ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৫৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৫টি নতুন, ২টি সংশোধিত এবং ৩টি মেয়াদ বৃদ্ধিসহ প্রকল্প।
একনেকের চেয়ারপার্সন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই সভা শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা, আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ ও সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা, পরিবেশ ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আজ অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: রংপুর অঞ্চলে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে টেকসই কৃষি উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উদ্যোগের শিল্পসমৃদ্ধ এলাকার ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের আধুনিকায়ন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্থাপন, পাঁচটি মেডিকেল কলেজে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন, ঢাকায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ, ঢাকা এনভায়রনমেন্টাল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প, বান্দরবান জেলার নিরাপদ পানি সরবরাহ উন্নয়ন, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণসহ নানা প্রকল্প।
সভায় পূর্বে অনুমোদিত ৯টি প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কেও সদস্যরা ενηত হন। এই প্রকল্পগুলোতে রয়েছে হাতিয়া, নিঝুম ও কুতুবদিয়া দ্বীপের শতভাগ টেকসই বিদ্যুতায়ন, রাজশাহী ও রংপুরে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন, বরগুনা পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন, পার্বত্য তিন জেলায় দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক উন্নয়ন, লাঙ্গলবন্দ মহাষ্টমী উৎসবের অবকাঠামো উন্নয়ন, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, সিলেট বিভাগের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, কপোতাক্ষ নদ আশপাশের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতা কেন্দ্রিক সাক্ষরতা বৃদ্ধিসহ প্রকল্প।
এই সিদ্ধান্তগুলো দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।