একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র
পক্ষের করা আপিলের ওপর বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি শেষ হয়েছে।
পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৩ আগস্ট দিন ঠিক করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ
পরবর্তী শুনানির এই দিন ঠিক করেন।
আদালতে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল
জব্বার ভুঁইয়া, মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ, ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি
জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। অন্যদিকে আসামি পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এস
এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা পৃথক মামলায় বিচারিক
আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে গত বছরের ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের
ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
লুৎফুজ্জামান বাবরসহ গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিরা খালাস পান। সে রায়ের বিরুদ্ধে
‘লিভ টু আপিল’ করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে গত ১ জুন রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করার অনুমতি দেয়
আপিল বিভাগ। এরপর আপিল দায়ের করলে গত ১৭ জুলাই প্রথম দিনের মতো এই আপিলের শুনানি
অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড
হামলায় ২৪ জন নিহত ও কয়েকশ মানুষ আহত হন। ওই গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায়
হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে
সিআইডি এই মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দিলে শুরু হয় বিচার।
তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই মামলায় অধিকতর তদন্তে আসামির তালিকায়
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করা হয়।
দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার
ট্রাইব্যুনাল-১’র বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আলোচিত মামলার রায় দেন। আলোচিত ওই রায়ে
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস
সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিচারিক আদালতের রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের
যাবজ্জীবন ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। গত ১ ডিসেম্বর
হাইকোর্ট এই মামলার সব আসামিকে খালাস দেন।