ঢাকা | সোমবার | ১৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

এশিয়া কাপের স্কোয়াডে বাদ বারণ বাবর আজম, কোচের ব্যাখ্যা

পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম এবার ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাননি। এর আগের এশিয়া কাপে বাবর নেপালের বিপক্ষে ১৫১ রানের ধবল ইনিংস খেলেছিলেন, যা তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। তবে এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা।

বাবর আজম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে পরিচিত। ৪০ গড়ে ৪২২৩ রান করে তিনি ৩৬টি ফিফটির পাশাপাশি তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন। তবে তাঁর স্ট্রাইক রেটে দীর্ঘ সময় দেখা গেছে সমালোচনা, বিশেষ করে স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলার ধরন নিয়ে। দলের গুণগত উন্নতির লক্ষ্যে নয়, ব্যক্তিগত বাজি নিয়ে তিনি খেলে থাকেন— এমন অভিযোগেও আদালতে পড়েছেন বাবর। এই কারণে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর থেকে তাকে টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ দেওয়া হয় নি।

বাবরকে ছাড়া পাকিস্তান ইতিমধ্যেই চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে, এর মধ্যে দুটি জয় পেয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজ এবং সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজে পাকিস্তানের জয় এসেছে। অন্য দিকে বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারও নিয়েছে তারা।

এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে বাবরকে দলে পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল। তবে কোচ মাইক হেসনের ঘোষণায় স্পষ্ট হল যে বাবরকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি কারণ তিনি এখনও কিছু ক্ষেত্রে উন্নতির প্রয়োজন। হেসন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “বাবর প্রথম ওয়ানডেতে ভালো খেলেছে, তবে পরবর্তী দুই ম্যাচে নিজের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে খেলার কৌশল এবং স্ট্রাইক রেট উন্নত করার জন্য তাকে বলা হয়েছে। সে এই বিষয়গুলো নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছ।”

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাবরের স্ট্রাইক রেট ১২৯.২২ হলেও স্পিন বোলারদের বিপক্ষে তা কমে ১২১.৫৪। কোচ হেসন বলেছেন বর্তমানে দলে থাকা খেলোয়াড়রা বেশ ভালো পারফর্ম করছে। ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান মাত্র ২৫ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ৭৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এবং মাত্র ছয় ম্যাচে তিনবার ম্যাচসেরা হয়েছেন। টপ অর্ডারেও সাইম আইয়ুব ও ফখর জামান দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

মাইক হেসন বলেন, “বাবরের মতো গুনী খেলোয়াড়ের জন্য বিগ ব্যাশ লিগে খেলার সুযোগ রয়েছে, যা তাকে আরও উন্নতির জায়গা দেখাবে। ও এত ভালো যে ওকে বিবেচনায় না নেওয়া কঠিন।”

এই ব্যাখ্যা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে বাবরের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া শুধুই তাঁর উন্নতির জন্য দেওয়া চ্যালেঞ্জ এবং পাকিস্তান দলে নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করে চলেছে।