ঢাকা | শনিবার | ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

এশিয়া কাপ দল থেকে বাদ পড়লেন বাবর আজম, কোচ মাইক হেসনের মতামত প্রকাশ

গত এশিয়া কাপে বাবর আজম ছিলেন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক এবং সেখানে তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট নেপালের বিপক্ষে ১৫১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু এবারের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপে পাকিস্তান দলে বাবর আজমকে রাখা হয়নি, যা অনেক ক্রিকেট ভক্তদের জন্য অবাক করার বিষয়।

বাবর আজম পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও অধিনায়ক ছিলেন এবং পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড তারই। তিনি প্রায় ৪০০০ এর বেশি রান সংগ্রহ করেছেন গড়ে প্রায় ৪০.২২৩ রান করে, যেখানে রয়েছে ৩৬টি ফিফটি ও ৩টি সেঞ্চুরি। তবে স্ট্রাইক রেট নিয়েও অনেক সময় সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। অনেকের ধারণা, বাবর দলের জন্য নয়, কখনো কখনো নিজের জন্যই খেলেন। এ কারণেই গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর থেকে তাকে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা মেলেনি। এরপর থেকে পাকিস্তান বাবর ছাড়াই চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে, যেখানে দুটো জয়, একটিতে পরাজয় এবং একটি সিরিজ ড্র করেছে।

এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে বাবরের অনুপস্থিতি ক্রিকেট প্রেমীদের অবাক করেছে। অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি স্কোয়াডে থাকবেন, কিন্তু দল ঘোষণার পর দেখা গেছে তা হয়নি। পাকিস্তান দলের কোচ মাইক হেসন বিষয়টি নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘বাবর প্রথম ওয়ানডেতে ভালো খেলেছিলেন, তবে পরবর্তী দুই ম্যাচে তিনি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। স্পিনারদের বিপক্ষে খেলায় এবং স্ট্রাইক রেট বৃদ্ধিতে তাকে আরও উন্নতি করতে হবে। সে এ নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছে।’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাবরের স্ট্রাইক রেট রয়েছে ১২৯.২২, তবে স্পিন বিপক্ষে তার স্ট্রাইক রেট প্রায় ১২১.৫৪, যা একটু কম। এই বাঁধা পেরোতে কোচ ও বাবর দুজনেই কাজ করছেন।

পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি.Open করার দায়িত্ব এখন সাহিবজাদা ফারহানের হাতে, যিনি দারুণ ফর্মে রয়েছেন। চলতি বছরে মাত্র ২৫ ইনিংসে তিনি ৭৭টি ছক্কা মারার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। এছাড়া দলের টপ অর্ডারে সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

কোচ হেসন বলেন, ‘আমাদের দলে যারা আছেন তারা সবাই চমৎকার পারফর্ম করছেন। সাহিবজাদা মাত্র ছয় ম্যাচে তিনবার ম্যাচসেরা হয়েছেন। বাবরের মতো একজন খেলোয়াড়ের জন্য বিগ ব্যাশ লিগে খেলা এবং টি-টোয়েন্টিতে উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। ও এত প্রতিভাবান যে তাকে বিবেচনা না করাই মুশকিল।’

এভাবেই পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল নতুন অঙ্গনে পদার্পণ করতে চলেছে, যেখানে বাবর আজমের অভাবে দলে নতুন সম্ভাবনার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।