ঢাকা | বুধবার | ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

করুণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

রাঙামাটির কাপ্তাই লেক থেকে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট দিয়ে ৩ ফুট করে পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাত ৩টার দিকে বৃহস্পতিবার ভোরে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে সকল ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এই বিপর্যয় বাস্তবিকভাবে নদীর দুই পাড়ে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চলাচলে ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি করেছে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) রনেল চাকমা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ে’র ১৬টি গেট ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোত সৃষ্টি হয়, যা ফেরির চলাচল অসম্ভব করে তোলে। ফলে বুধবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।

অপরদিকে, বুধবার সকালে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদীর দুই পাড়ে কিছু যানবাহন চালক ও যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন, ফেরির জন্য। এসময় বেশ কয়েকজন যাত্রী ও চালকের সঙ্গে কথা বলা হয়। চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বাবু জানান, এই নৌরুটটি প্রাকৃতিক কারণে প্রায়শই বন্ধ থাকে, যা সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন চালকদের কঠিন দুর্ভোগের কারণ। তিনি এ জন্য একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন, যাতে এই ধরনের বাধার সমাধান হতে পারে।

ফেরিঘাটের কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী, যেমন মো: শহীদুল ইসলাম, মো: সরফুল আলম ও সুকুমার বড়ুয়া বলেন, তারা ওপারে যাওয়ার জন্য এসেছেন, কিন্তু ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় তারা খুবই দুর্ভোগে পড়েছেন। তাঁরা সেতু নির্মাণ হলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এছাড়া, বাস চালক মো: শুক্কুর, ব্যবসায়ী পুলক চৌধুরী, সিএনজিচালক মো: আরিফ, বিপণন কর্মী মো: নুরনবী এবং সাধারণ যাত্রীরা জানান, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রচুর জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, ফলে ফেরির কাজ বন্ধ রয়েছে।

ফেরির ইনচার্জ মো: শাহজাহান ও চালক মো: সিরাজ জানান, কেন্দ্র থেকে পানি ছাড়ার কারণে নদীতে স্রোত অনেক বেশি, যার জন্য বুধবার রাত ৩টার পর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যদি স্রোত কমে আসে, তবে তারা ফেরি চালানো চেষ্টা করবেন। তবুও এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফেরির কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।