ঢাকা | শনিবার | ২৬শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১লা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

কুড়িগ্রামের দুর্গম চরাঞ্চলে অপরাধ দমনে প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশের ড্রোন অভিযান

কুড়িগ্রামের চরবেষ্টিত চিলমারীসহ বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় ডাকাতি ও অন্যান্য অপরাধরোধে এখন প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। আকাশ ও নদীপথে ড্রোন উড়িয়ে ও নদীতে টহল জোরদার করে ব্রহ্মপুত্র নদের ঝুঁকিপূর্ণ নৌরুটগুলোতে পুলিশের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশেষ করে হাটের দিনগুলোতে চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর নৌরুটে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), নৌপুলিশ ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়। অতীতে এই রুটগুলোতে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটায় এখন এ জায়গাগুলোতে নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।

ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চরাঞ্চলের ঘন জঙ্গল বা ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকা অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে ডাকাতি ও মাদক পাচারের মত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এসেছে।

উপজেলার জোড়গাছ এলাকায় প্রতি সপ্তাহের রবিবার ও বুধবার বড় হাট বসে, যেখানে চরাঞ্চল ও আশপাশের এলাকায় থেকেও ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা নৌপথে আসে। এই দিনগুলোতে জোড়গাছ হাট, রমনা ঘাট, কাঁচকোল, ফকিরের হাট এবং চিলমারী ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। এসব স্থানে ড্রোনসহ নৌপুলিশ ও থানা পুলিশের আলাদা টহল দল সক্রিয় থাকে।

চিলমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা আজগর আলী মণ্ডল (৬৫) জানান, আগে মাঝেমধ্যেই ডাকাতির ঘটনা ঘটত, এখন তা প্রায় বন্ধ। আকাশে ড্রোন উড়তে দেখলে বুঝতে পারি পুলিশ তৎপর রয়েছে, যার ফলে নিরাপত্তা অনেক বেড়েছে।

জোড়গাছ এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, আগে হাটে আসার সময় ভীতি কাজ করত, এখন পুলিশ নৌকায় টহল দিচ্ছে, ড্রোন নজরদারি করছে দেখে সম্পূর্ণ নিরাপদ বোধ করি। পুলিশের এই নজরদারির খবরে অপরাধীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে, তারা অপরাধ করতে সাহস পাচ্ছে না।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুর রহমান জানান, চিলমারী নদীবন্দর ও আশপাশের নৌরুটগুলোতে ড্রোন ব্যবহার করে সর্বক্ষণ মনিটরিং করা হচ্ছে। পুলিশের নিয়মিত টহল ও গোয়েন্দা নজরদারির ফলে দীর্ঘদিন ধরে নৌ-ডাকাতি বন্ধ রয়েছে। আমরা প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশিংয়ের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে নিরাপদ রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।