ঢাকা | রবিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

কুমিল্লায় বসতঘরের দরজা ভাঙচুর করে নারী ধর্ষণ, প্রধান আসামিসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে এক নারীর ওপর ঘটানো বর্বরোচিত ধর্ষণের প্রধান আসামি ফজর আলীসহ পাঁচ রোহিঙ্গা প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের সময় ওই নারীর বসতঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে মূল আসামি ফজর আলী (৩৮) এবং সহযোগীরা।

পুলিশের বরাতে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৫টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মুরাদনগরের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের একটি পুর্বপাড়ার বাসিন্দা। পাশাপাশি, ধর্ষণের ওই নৃশংস ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়ে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন— একই এলাকার অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত গভীর সময়ে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী ২৫ বছর বয়সী এবং ১৫ দিন আগে বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।

ঘটনার পর ওই নারীর দেয়া বিবৃতির ভিত্তিতে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়, যার প্রধান আসামি হলেন ফজর আলী। ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নেটিজেনরা সোচ্চার হয়।

আক্রান্ত ওই নারীর ভিডিও ধারণ করে তা ছড়ানোর কারণে গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ সুপার জানান। এর আগে, দুই দিন আগে স্থানীয় কয়েকজন বিক্ষুব্ধ ওই ফজর আলীকে ধর্ষণের ঘটনায় আটক করলেও, মারধরের ঘটনায় তিনি পালিয়ে যান। এরপর পুলিশ তাকে আজ ভোরে গ্রেপ্তার করে।

মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযোগ অনুসারে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে এবং মামলা তদন্ত করছে। পুলিশ সর্তক থাকার পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ ও সচেতন সমাজের কঠোর নিষ্ঠুর নিন্দা ও দ্রুত বিচার দাবি শোনাচ্ছে। পুলিশও এই দৃষ্টান্তমূলক মামলার সফল সমাধানে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।