বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সবাই জাতীয় বীর বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, ‘‘গণ-অভ্যুত্থানে যারা প্রাণ দিয়েছেন শুধু তারাই নয়, গত ১৬ বছরে গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রামে জীবন দিয়েছে এমন সকল ব্যক্তিকেও জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।’’
এ কথা তিনি রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘‘আমরা বিএনপি পরিবার’’ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বলেন, যেখানে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে আহত, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী এবং অসহায় অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘শুধু রাষ্ট্রের কাঠামো পরিবর্তন করলেই হবে না, বরং যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে এবং যারা নাগরিক আমরা উভয়ের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি। শুধুমাত্র সরকারের উপরে নির্ভর করে চলা সম্ভব নয়, জনগণকেও দেশের জন্য নিজের দায়িত্ব নিয়ে ভাবতে হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সংস্কারের মাধ্যমে আমরা একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান পেয়েছি। সেই সংবিধানের আলোকে যারা সরকার গঠন করবে এবং যারা তা পরিচালনা করবে তাঁদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। পাশাপাশি জনগণেরও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে, যাতে একটি মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।’’
তিনি বলেন, ‘‘সরকার আমাদের জন্য কী করতে পারে তা ভাবার পাশাপাশি আমাদেরও ভাবতে হবে আমরা দেশের জন্য কী করতে পারি। এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনই আমাদের দায়িত্বশীলতা সৃষ্টি করবে। এর মাধ্যমে সরকার ও জনগণ একসাথে মিলিয়ে একটি গুণগত রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।’’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘‘স্বাধীনতার শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধাদের স্বপ্ন ছিল একটি ন্যায়সঙ্গত ও উন্নত সমাজ গড়ে তোলা। ২০২৪ সালের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, যারা জীবন দিয়েছেন, তারা এই স্বপ্নের অংশ। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে তাঁদের সপোর্ট দেয়া, যেন তাদের সন্তানেরা সেই কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র ও সমাজ দেখতে পারে। আমরা সবসময় স্মরণ করি, শতশত শহীদের রক্তের অঙ্গীকারকে পূরণ করা আমাদের কর্তব্য।’’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে, বর্তমান অনেক ফ্যাসিস্টদের মাঝে কোনো অনুশোচনা বা বেদনা নেই বরং তারা দাম্ভিক ও অনবদ্য আচরণ করছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন সভাপতিত্ব করেন এবং সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি সঞ্চালনা করেন। এছাড়া বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল সহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।