ঢাকা | শনিবার | ২৬শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১লা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

গাজা গণহত্যা মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ব্রাজিল

ব্রাজিল বুধবার ঘোষণা করেছে, তারা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্বে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় যোগ দিতে আগ্রহী। ব্রাসিলিয়া থেকে এএফপি জানায়, ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মামলায় আনুষ্ঠানিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে কলম্বিয়া, লিবিয়া এবং মেক্সিকোসহ অনেক দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে মামলায় অংশগ্রহণ করেছে এবং আরও অনেক দেশ সমর্থন জানিয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলা দায়ের করে। মামলায় বলা হয়, গাজায় ইসরাইলি হামলা ১৯৪৮ সালের গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি বিষয়ক জাতিসংঘ কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। তবে ইসরাইল এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারি, মার্চ এবং মে মাসে আইসিজে রায় দেয় যে, গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর সময় ইসরাইলকে অবশ্যই গণহত্যা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে দুর্ভিক্ষ রোধে জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদান।

ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় বেসামরিকদের ওপর নির্বিচারে সহিংসতা চালানো হচ্ছে এবং ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, চলমান বর্বরতার মুখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নেই।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের এক প্রাণঘাতী হামলার মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে ইসরাইল অবিরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমবর্ধমান।

ইসরাইল বুধবার গাজায় দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য সংকট সৃষ্টির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। অন্যদিকে শতাধিক ত্রাণ ও মানবাধিকার সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ছে।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বারবার গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন অনুযায়ী, কোনো জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত পাঁচটি নির্দিষ্ট কাজকে গণহত্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।