ঢাকা | মঙ্গলবার | ২২শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ছয় মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গেলেন ২ হাজার ৭৭৮ জন

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। ছয় মাসে মোট ১৭ হাজার ৯৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ হাজার ৮২৬ জন আহত এবং ২ হাজার ৭৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাজ্যের রাজধানীর বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা।

তিনি আরও জানান, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি ও থ্রি হুইলার ধরনের যানবাহনে ৮ হাজার ৮১২টি দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৮১৫ জন আহত এবং ৭৯৫ জন প্রাণহারান। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৬২৩ জন আহত এবং ৬৭৩ জন নিহত হয়েছেন। বাস দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৩১৮ জন আহত এবং ৮২৫ জন মারা গেছেন। ট্রাক, পিকআপ ও লড়ি গাড়ির দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৭০ জন আহত এবং ৪৮৫ জন নিহত হয়েছেন।

সেভ দ্য রোডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী এবং মহাসচিব শান্তা ফারজানাসহ সংশ্লিষ্ট গবেষক দলের তত্ত্বাবধানে ১৭টি জাতীয় দৈনিক, ২২টি নিউজ পোর্টাল এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মোমিন মেহেদী বলেন, প্রতি তিন কিলোমিটারে পুলিশ বুথ বা ওয়াচ টাওয়ার না থাকায় এবং হাইওয়ে পুলিশসহ জেলা-উপজেলা স্তরের পুলিশের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে ছয় মাসে ১১৮টি সড়ক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১০৪ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া, নারী শ্লীলতাহানীর ঘটনা ৬১৪টি এবং ধর্ষণের ঘটনা দুইটি। অধিকাংশই থানাপুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে না বলেও অভিযোগ উঠে।

নৌপথে কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশের দায়িত্ব অবহেলার কারণে ডাকাতি বেড়েছে। মহাখালীয়ে রেলপথে দুষ্কৃতিকারীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪১ সহ মোট ৫৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া, এই ছয় মাসে নৌপথে ৬১৫টি ছোট-বড় দুর্ঘটনায় ৪৫১ জন আহত ও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রেলপথে ৫২৬টি দুর্ঘটনায় ১৮৪ জন আহত ও ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আকাশপথে দুর্ঘটনা না হলেও বিমানবন্দরে অব্যবস্থাপনার কারণে ৩১৬ জন অসুস্থ হয়েছেন।

এতো বিপদজনক অবস্থার মধ্যেও সড়ক নিরাপত্তায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া না গেলে ভবিষ্যতে আরও অনেক প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।