চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের মধ্যে সড়কপথে মোট ১৭,৯৫৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ১৭,৮২৬ জন আহত এবং ২,৭৭৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এই তথ্য শুক্রবার রাজধানীর বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা জানান।
তিনি আরও জানান, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি ও থ্রি হুইলার যানবাহনে ৮,৮১২টি দুর্ঘটনায় ৮,৮১৫ জন আহত এবং ৭৯৫ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩,৬২৩ জন আহত এবং ৬৭৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। বাস দুর্ঘটনায় আহত ৩,৩১৮ জন এবং মারা গেছে ৮২৫ জন। ট্রাক, পিকআপ ও লড়ি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২,০৭০ জন, নিহত ৪৮৫ জন।
সেভ দ্য রোডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী এবং মহাসচিব শান্তা ফারজানাসহ সংশ্লিষ্ট গবেষণা সেলের সদস্যদের তত্ত্বাবধানে ১৭টি জাতীয় দৈনিক, ২২টি নিউজ পোর্টাল, স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মোমিন মেহেদী জানান, প্রতি ৩ কিলোমিটারে পুলিশ বুথ বা ওয়াচ টাওয়ার না থাকার কারণে এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের পুলিশের অবহেলার কারণে সড়কে ছয় মাসে ১১৮টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় আহত হয়েছে ১০৪ জন। এছাড়া নারী শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে ৬১৪টি এবং ধর্ষণের ঘটনা হয়েছে ২টি। অধিকাংশ 피해 থানা-পুলিসের কাছে শেন্ঠনাপন্ন হয়নি বলে স্বেচ্ছাসেবী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য উঠে এসেছে।
নৌপথে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের দায়িত্বে অবহেলার সুযোগে ডাকাতি বেড়েছে। রেলপথে মহাখালী এলাকায় দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া ইট-পাটকেল ও ছিনতাইকারীদের হামলায় ৪১ জনসহ মোট ৫৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নৌপথে ৬১৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ৪৫১ জন আহত এবং ১৪ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে রেলপথে ৫২৬টি দুর্ঘটনায় ১৮৪ জন আহত ও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আকাশপথে এই সময় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরে অব্যবস্থাপনার কারণে ৩১৬ জন অসুস্থ হয়েছেন। এই তথ্যগুলো থেকে দেখা যাচ্ছে, সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশপথে নিরাপত্তা ও তদারকির ব্যাপারে ত্রুটির কারণে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হচ্ছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।