ঢাকা | শুক্রবার | ১লা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের: আলী রীয়াজ

জুলাই সনদের বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়

ঐকমত্য কমিশনের (এনসিসি) সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এনসিসি ও রাজনৈতিক দলগুলোর

মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের সংলাপের ২৩তম দিনের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা

বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রধান এবং মৌলিক দায়িত্বটা

রাজনৈতিক নেতাদের। আমরা বিশ্বাস করি, যেসব বিষয়ে আপনারা একমত হয়েছেন, সেগুলো

বাস্তবায়নের পথ আপনারা তৈরি করতে পারবেন। সেখানে কমিশন আনুষ্ঠানিক এবং

অনানুষ্ঠানিকভাবে অনুঘটকের কাজ করবে।’

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে সনদের বাস্তবায়ন কাঠামো নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে

আবারও বসবে এনসিসি।

আলী রীয়াজ জানান,প্রথম পর্বের সংলাপে বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো হয়েছে এবং সে

অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্মত বিষয়গুলোর একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা’ নিয়ে সংস্কার সংলাপ চলছে

আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় পর্বের সংলাপ শেষ হবে উল্লেখ করে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন,

‘আজকের আলোচনায় অনেকগুলো বিষয় আছে, যেগুলো মূলত সিদ্ধান্তের বিষয়। বিশেষ করে যে

দায়িত্বগুলো আপনারা আমাদের ওপর অর্পণ করেছেন, তার মধ্যে যেগুলোতে সুনির্দিষ্ট

সিদ্ধান্ত হয়েছে- সেগুলো আমরা আপনাদের অবহিত করব। এছাড়া কিছু অনালোচিত বিষয়

রয়েছে, যেগুলোর ব্যাপারে আমরা ফ্লোর থেকে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’

আজকের আলোচনার বিষয় সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও

নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল বিধান নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ আগের আলোচিত বিষয়গুলো।

কমিশনের বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন,

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ

পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছি, তা হচ্ছে প্রায় ১৩টি বিষয়ে ঐকমত্য

প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোথাও নোট অব ডিসেন্টের সুযোগ ছিল এবং তা এখনো আছে। আজকের

আলোচনায়ও কোনো ভিন্নমত থাকলে, তা রেজিস্টার করার সুযোগ থাকবে।’

কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘সনদের টেক্সট নিয়ে ইতোমধ্যে আপনাদের পরিবর্তন, সংশোধন

বিষয়ক মতামতগুলো আমরা পেয়েছি এবং তা প্রতিফলনের ভিত্তিতে চূড়ান্ত টেক্সট তৈরি

করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজকের মধ্যেই নিষ্পত্তির জায়গায় পৌঁছাতে চাই। আজকের আলোচনার

পরেই আমরা চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে আপনাদের জানাব এবং আশা করি, সবাই তাতে স্বাক্ষর

করবেন। এটাই আমাদের আজকের উদ্দেশ্য, আর সেই উদ্দেশ্য পূরণেই আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

গত ২ জুন দ্বিতীয় দফা সংলাপের উদ্বোধন করেন কমিশনের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা থেকে বিএনপির ওয়াকআউট

২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ইস্যুগুলোতে একটি সমন্বিত জাতীয় অবস্থান গঠনের

দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এর আগে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত প্রথম দফার সংলাপে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর

সঙ্গে আলোচনা করে কমিশন।