গত কয়েকদিন যাবত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা প্রবল বৃষ্টিতে সড়ক এবং সেতুর সংযোগ অংশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে নড়াইল, মুন্সীগঞ্জ, সাতক্ষীরা এবং ফরিদপুরের প্রধান সড়কগুলোতে গর্ত ও ভাঙনের কারণে যান চলাচল ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে এবং অসংখ্য মানুষ দূর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েছে।
কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি-মান্দ্রা সড়কের পূর্ব মাঝবাড়ি নতুন মসজিদ সংলগ্ন ব্রিজের দুপাশ ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ তাদের গন্তব্যে যেতে পারছেন না। স্থানীয় ব্যবসায়ী দিদার দাড়িয়া জানান, দ্রুত এই সড়ক মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম বিল্লাহ জানান, ব্রিজের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দ্রুত মেরামত করা হবে এবং জনসাধারণের দুর্ভোগ শীঘ্রই দূর করা হবে।
নড়াইলের খাশিয়াল-নড়াগাতী সড়ক নিয়ে সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার ছাড়াই পড়ে থাকায় ছোট-বড় গর্তে ভরে যেতে হচ্ছে ভারী চাপের পানি। 이에 প্রতিবাদে স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছে। খাশিয়াল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বি এম বরকত উল্লাহ বলেন, ‘‘সড়ক দ্রুত মেরামত করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি নেওয়া হবে।’’
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হলেও কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নতুন ঠিকাদার নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া মহাসড়ক এবং নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ সেতুর অবস্থা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টিতে সৃষ্ট বড় বড় গর্তের কারণে যানবাহনের গতি কমেছে, যা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি করেছে। এতে যাত্রী ও অফিসগামী ব্যক্তিরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের মানিকখালী-রমজাননগর মেইন সড়কের ওপরের কালভার্ট দীর্ঘদিন ধরে নাজুক অবস্থায় রয়েছে, যা দ্রুত সংস্কারের দাবি উঠেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কেও দীর্ঘদিনের সংস্কার না হওয়ায় যানজট এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে নতুন করে অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, যা যাত্রী ও চালকদের জন্য মারাত্মক প্রতিকূলতা সৃষ্টি করছে।
অঞ্চলবাসী এবং বিভিন্ন প্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, এসব সড়ক দ্রুত সংস্কারের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়েছে, যাতে জনদুর্ভোগ কমাতে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা যায়।