ঢাকা | রবিবার | ১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে শাকিব–জয়াদের বিরুদ্ধে প্রতীকী জুতাপেটা

১৫ আগস্টকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ‘শোকগাথা’ শিরোনামে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দেশের বিনোদন অঙ্গনের কয়েকজন পরিচিত মুখের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিকভাবে কর্তৃত্ববাদকে পুনর্বাসনের সহযোগী হওয়ার অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকাল ৫টায় ‘প্রতীকী জুতাপেটা’ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আয়োজকদের ভাষ্য, একটি ব্যানারে বিনোদন অঙ্গনের তারকা, সাংবাদিক ও নির্মাতাদের ছবি টানানো হয় এবং সেখানে জুতাপেটার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। তাদের অভিযোগ, ১৫ আগস্টকে ঘিরে ওই সকল তারকা সামাজিক মাধ্যমে ছবি ও ইঙ্গিতপূর্ণ ক্যাপশন দিয়ে ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের প্রতি নীরব সম্মতি জানিয়েছেন—যা সাংস্কৃতিক পরিসরে কর্তৃত্ববাদকে প্রশ্রয় দেয়।

ব্যানারে যাদের ছবি টানানো হয়, তাদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা সঞ্চল চৌধুরী, অভিনেত্রী শমি কায়সার, শম্পা রেজা, জয়া আহসান, শামিম (মনা), জাহের আলভি, অরুণা বিশ্বাস, নাজিফা তুষি, সাজু খাদেম, মুমতাহিনা টয়া, সুনেরাহ বিনতে কামাল, পিয়া জান্নাতুল, আরশ খান, খায়রুল বাশার, ইরফান সাজ্জাদ, চিত্রনায়ক শাকিব খান, স্বাধীন খসরু, কচি খন্দকার এবং মেহের আফরোজ শাওন।

এ ছাড়া সাংবাদিক শাহেদ আলম, আব্দুন নূর তুষার, জে. ই. মামুন, আনিস আলমগীর, ফারাবী হাফিজ, লেখক সাদাত হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল হাসান মামুন, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, সংগীতশিল্পী রাহুল আনন্দ, ব্যান্ডদল আর্টসেলের লিংকন এবং নাট্যকার সুমন আনোয়ারের বিরুদ্ধেও ‘বাকশালী ফ্যাসিবাদ’কে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রতিবাদকারীদের দাবি, উল্লিখিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে গত বছরের জুলাইয়ের গণআন্দোলনের সময় কিছুদিন আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি দেখালেও পরে আওয়ামী লীগকে ‘পুনর্বাসনের’ প্রচেষ্টায় যুক্ত হয়েছেন বলে তাদের ধারণা। এই অভিযোগের সামষ্টিক বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে তাদের সামাজিকমাধ্যম কার্যক্রমে—এমনটাই মন্তব্য আয়োজকদের।

সামাজিক মাধ্যমেই এ ঘটনার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ‘জুলাই রেভ্যুলুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে এক সংগঠন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানায়, ১৫ আগস্ট ‘শোক দিবস’ পালন করা উল্লিখিত তারকাদের তারা উত্তরায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে; উত্তরার শিক্ষার্থী ও জুলাই অভ্যুত্থান–পন্থীরা সেখানে তাদের শুটিং করতে দেবেন না বলেও ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর উত্তরায় বহু শুটিং হাউস রয়েছে এবং দেশের টিভি নাটকের বড় অংশের শুটিং হয় উত্তরা ও আশপাশের এলাকায়। আয়োজকদের ভাষ্য, প্রয়োজনে তারা আরও কর্মসূচি বিবেচনা করবেন।