ঢাকা | শনিবার | ১৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

দলের যেকোনো পদাধিকারীর অপরাধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছে বিএনপি: রিজভী

বিএনপি অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, দলের যেকোনো সদস্য যদি অন্যায়ে জড়িত থাকে, তাকে ছাড় দেয়া হবে না।

রিজভী আরও বলেন, ‘যে কেউ অবৈধ, অনৈতিক বা সহিংস কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকবে, তাকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। ঘটনার তৎক্ষণাৎ তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা একেবারেই দ্বিধা করি না। কোনো ধরনের লম্বা সময় নিয়ে চাপা রাখার উদ্যোগ নেই।’

শুক্রবার (৪ জুলাই) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, দলের কেউ বা পার্শ্ববর্তী কেউ যাতে সহিংসতার পথ ধরতে সাহস না পায়, সেদিকেও বিশেষ খেয়াল রাখা হচ্ছে। ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর যেকোনো অভিযোগ পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও নেব। কাউকেই আর অবাস্তব ক্ষমা দেওয়া হবে না।’

রিজভী জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের আভ্যন্তরীণ কার্যক্রম, দায়িত্বহীন আচরণ প্রতিটি দিক নজরদারি করছেন। ‘দলীয় শৃঙ্খলা ও অন্যায় কার্যকলাপের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই চার থেকে পাঁচ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনো অভিযোগ উঠলেই বিএনপি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে, এখানে কোনো আপোস নেই। দলের নেতৃত্ব জিরো টলারেন্স নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করছে।’

রুহুল কবির রিজভী আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলে থাকা নেতাদের কোনো প্রকার ছাড় নেই। দলের সদস্যদের মধ্য থেকে কেউ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়াতে পারবেন না––আমরা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ কঠোর অবস্থানে আছি।’

বিএনপির গণতান্ত্রিক মূলনীতির প্রতি অটল স্থায়ী অঙ্গীকার তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘গত সোলহ বছর ধরে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিরাম সংগ্রাম করে আসছে। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি কঠোর প্রতিবাদ ও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। দমন-পীড়ন সত্ত্বেও আমাদের সংগ্রাম থেমে যায়নি।’

তিনি অনুরোধ করেন, অবিলম্বে সুষ্ঠু, অবাধ ও ন্যায়নিষ্ঠ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রিজভীর মতে, ‘শুধুমাত্র সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনেই বিএনপির জনপ্রিয়তা স্বচ্ছভাবে ফুটে উঠবে।’