ঢাকা | বুধবার | ২৩শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৮শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

দলের যেকোনো সদস্যের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছে বিএনপি: রিজভী

বিএনপি অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করছে বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, দলের কোনো সদস্যই যদি অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত হন, তাহলে তাকে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না।

রিজভী আরও জানিয়েছেন, ‘যে কেউ অবৈধ, অনৈতিক অথবা সহিংস কাজে জড়িত থাকুক না কেন, তাকে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হবে। কোনো ঘটনা ঘটার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত και সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কোনো কসরত করি না। দেরি না করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

শুক্রবার (৪ জুলাই) নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, দলের অভ্যন্তরে কিংবা প্রতিবেশী বা অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে সহিংস আচরণ করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সর্বশেষ অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সমস্ত সহিংস ঘটনার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি এবং এ ধরনের প্রকারের কোনো কাজের জন্য কোনো অংশীদারিত্ব অনুমোদিত নয়।’

রিজভী আরো জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়মিতভাবে দলের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও নজরদারি করছেন। তিনি বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অন্যায় কর্মকান্ডে জড়িত থাকার জন্য আমরা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের চার থেকে পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’

তিনি নিশ্চিত করেছেন, দলের প্রতি কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ‘বিএনপি এবং নেতৃত্ব নির্বিঘ্ন ও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে, তারেক রহমান জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

রিজভী বলেন, ‘কোনো অপরাধ করলে, কোনো নেতা হোক বা সরল সদস্য—সবাই শাস্তির আওতায় আসবেন। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং বেআইনি কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।’

গণতন্ত্রের প্রতি দলের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি গত ষোল বছর ধরে অবিচলিতভাবে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে আসছে। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের karşı তীব্র প্রতিবাদ ও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে দল। দমন-পীড়ন সত্ত্বেও আমরা কখনো পিছু হটিনি।’

অবশেষে, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে রিজভী বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই বিএনপির জনপ্রিয়তাকে প্রকট করার পথ সহজ করবে।’