ঢাকা | শনিবার | ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নওগাঁয় ভেঙে পড়া বেড়িবাঁধের ফলে সেচ্ছান্তিক এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ

নওগাঁর আত্রাই নদীর এক সংস্থানে কয়েক সেন্টিমিটার বিস্তৃত বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়নের তালপাতিলা এলাকায় পানি ঢুকে কয়েকশ পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল বেলায় তালপাতিলার এই বেড়িবাঁধ ধ্বংসপ্রায় অবস্থায় পৌঁছায়, যার ফলে তালপাতিলা গ্রামসহ আশপাশের চকবালু, চকরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করছে এবং ওই এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বছরও একই জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। এরপর মাসখানেক আগে ওই অংশ মেরামত করা হলেও নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে আবারই বেড়িবাঁধের সুরক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হয়েছে।

ঘটনার খবরে মান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সময়ে মেরামতের আশ্বাস দেন।

দুপুর ১২টার সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যে জানা যায়, আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোত বাজার পয়েন্টে পানি বিপদসীমার চেয়ে ৩৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টেও বিপদসীমার উপরে গিয়ে ৩১ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে নওগাঁর ছোট যমুনা ও পুনর্ভবা নদীর পানি এখনও বিদসীমার নিচে থাকলেও পানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।

বর্ধিত পানি প্রবাহের কারণে মান্দা উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলা এলাকার অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে খুব ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও লক্ষ্মীরামপুর, আয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ ২০টির বেশি পয়েন্টকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বেড়িবাঁধ মেরামত করে এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।