ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ২৪শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আসন বণ্টন নিয়ে জোটের সঙ্গে আলোচনা করবে বিএনপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তার রাজনৈতিক জোটের শরীক দলগুলোকে নিয়ে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। দলটির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরই তারা এই প্রক্রিয়া শুরু করবে।

বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির যোগাযোগ কমিটি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এসব মন্তব্য করেন খসরু। তিনি বলেন, আসন বণ্টনের বিষয়ে এখনো আলোচনা করার পর্যায়ে পৌঁছেনি দল, তবে তফসিল ঘোষণার পর দ্রুত এই বিষয় নিয়ে জোটের মধ্যে মতবিনিময় শুরু হবে।

গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আরও জানান, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বৈঠকের ফলাফল নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রস্তুতিতে উভয় পক্ষই সন্তুষ্ট।

খসরু বলেন, তারা ৩১ দফা সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নসহ নির্বাচনকে সামনে রেখে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে তা নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যেভাবে অতীতে আন্দোলনের সময় ঐক্যবদ্ধ ছিলেন, নির্বাচনের সময় এবং সরকার গঠনের প্রক্রিয়াতেও তেমন একজোট থাকবেন তারা।

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের চলমান বৈঠক সম্পর্কে খসরু জানান, সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে বিষয়গুলোতে একমত হওয়া সম্ভব, সেগুলোই বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব রাজনৈতিক ধারণা ও লক্ষ্য রয়েছে, তাই সব বিষয়েই ঐকমত্যের প্রয়োজন নেই। মূলত ঐক্যমত্য বিষয়ক সংস্কারগুলো আলোচনা ও মনোযোগের কেন্দ্রে থাকবে, আর পার্থক্যগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

একই সময়, খসরু বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করার পর সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে বিচার বিভাগ স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনও তা অনুমোদন করেছে। তাই আইনের আলোকে তাকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে দেয়া উচিত।’

বিএনপি নেতা আরও বলেন, দল এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উভয়ই আইনের শাসনের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং এই বিশ্বাস অনুযায়ী দ্রুত ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।