বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নিশ্চিত করেন, আগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলো স্বপ্ন দেখে একটি স্থিতিশীল নির্বাচনী পরিবেশের, যার স্বীকৃতি ও ক্রেডিট সকলেই পান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ওই সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনসহ রোডম্যাপ নিয়ে যখন শঙ্কার কথা জানতে চাওয়া হয়, আমীর খসরু বুলিয়ে দেন, এ ধরনের শঙ্কার কোনো ভিত্তিই নেই। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে যখনই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে, সেক্ষেত্রে নির্বাচনপরিবেশ সবসময়ই শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোই মূলত দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলো সবাই চায় বাংলাদেশে একটি সুস্থ ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ থাকুক। সংস্কারের বিষয়ে তিনি জানান, ‘বিএনপি সবসময় থেকেই দেশের সংস্কারের প্রধান উদ্যোক্তা। আমাদের ভিশন ৩১ দফা জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এ নিয়ে আলোচনা হবে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে অনেক মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম, যারা ৩০ বছর বয়সের আশেপাশে, তারা কখনও ভোট দেয়নি। তাই আমরা নিশ্চিত যে, আগামী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি উৎসাহজনক হবে। পুরুষ, মহিলা সব বয়সী ভোটাররা নির্বাচন কেন্দ্রে গিয়ে অবাধ এবং সুষ্ঠু ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। আর সেক্ষেত্রে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গণতান্ত্রিক সূচকে আমাদের অগ্রযাত্রাকে প্রণোদনা দেবে।’
অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে সহযোগিতার প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক আলোচনা হয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়া নির্বাচন কমিশনকে ব্যাপক সহায়তা প্রদান করছে।’