ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এমন কোনো শক্তি নেই যা এই নির্বাচনকে প্রতিহত করতে পারবে।
গতকাল শুক্রবার মাগুরায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বি ও আল আমিনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সব দপ্তর বিষয়টি নিয়ে কঠোরভাবে কাজ করছে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই এবং আশা করছি সবার সহযোগিতায় সেটি সম্ভব হবে।
জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, যারা জীবন দিয়েছেন আমাদের জন্য একটি স্বাধীন দেশ এনে দিতে, তাদের মর্যাদা রক্ষা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশটিকে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের বর্ষাকাল জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে। বর্ষাকাল শেষ হলে নির্বাচনের আমেজ পাড়া-মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটের জন্য দুয়ারে দুয়ারে বেড়াবেন এবং পাড়ায় পাড়ায় ভোট অফিস গড়ে উঠবে, যা সারা দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে।
‘আমরা নিশ্চিত যে পুরো জাতির মনে যদি কোনো সন্দেহ থাকে, সেটি ছায়ামুক্ত হবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে এবং রোজার আগেই সম্পন্ন হবে,’ যোগ করেন তিনি।
শফিকুল আলম জানান, জুলাই-বৃষ্ঠিতে মাগুরায় মোট ১০ জন শহীদ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের হাতে শহীদ হন মেহেদী হাসান রাব্বি, যিনি ছাত্রদলের একজন স্থানীয় নেতা ছিলেন। তিনি তাঁর কবর জিয়ারত করেছেন। একই এলাকার ব্যবসায়ী আল আমিনও গুলি করে নিহত হয়েছেন এবং তার কবর মাগুরার উপকণ্ঠে। বাকি আটজন শহীদের কবরস্থানে তিনি যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
এই শহীদদের নতুন বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, তাদের আত্মদানেই আমরা আজকের স্বাধীন ও মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদদের ত্যাগের কারণে আজ আমরা স্বাধীনভাবে মুখ ফুটে কথা বলতে পারছি এবং পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট করতে সক্ষম হয়েছি। সামনে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শহীদদের ত্যাগকে মূল্যায়ন করে আমরা আরো শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলছি।