উৎকণ্ঠায় পরিণত হয়েছে সান্তোসের ভবিষ্যৎ, কারণ ভাস্কো দা গামার বিরুদ্ধে ৬-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে নেইমারদের দল। এই ভয়াবহ পরাজয়ের পরেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছে যে, তারা প্রধান কোচ ক্লেবার হাভিয়েকে বহিষ্কার করেছেন। দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, সান্তোস কোচের পদত্যাগের ঘোষণা এসেছে এবং তারা তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছে। পুরনো কোচের বিদায় নিশ্চিত করে ক্লাবটি নতুন কোচের খোঁজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তবে এখনো ঠিক করে দেয়া হয়নি কে আসবে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৬১ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান এই কোচ আগে পালেমেইরাস ও ফ্লেমেঙ্গো ক্লাবের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। গত এপ্রিল থেকে সান্তোসের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন, এখন পর্যন্ত ১৯ ম্যাচে উপহার দিয়েছেন ২১ পয়েন্ট। ব্রাজিলের সিরি আর লিগের এই ম্যাচে সান্তোসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিছুই ছিল না, প্রথমার্ধে দল একটি গোল করে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ভাস্কো দা গামা একের পর এক গোল করে ম্যাচটি নিজেদের পক্ষে নিয়ে যায়। এই উল্টো ট্রাজেডির আগে, নেইমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় হার ছিল ৪-০ গোলের, যা ২০১১ সালে সান্তোসে খেলার সময় বার্সেলোনার বিপক্ষে এবং ২০১৭ সালে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর হয়ে পিএসজির বিপক্ষে হয়েছিল। তবে আজকের ম্যাচের ফল আড়াআড়ি দেখলে সেই দুই হারও ছাপিয়ে গেছে। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ ব্যবধানে হারের খতিয়ান আজও মনে fresh, যদিও নেইমার সেই সময় মাঠের বাইরে ছিলেন। এই জয়ে ভাস্কো দা গামা ১৮ ম্যাচে পেয়েছে ১৯ পয়েন্ট, অবস্থান এখন ১৬ নম্বর। অন্যদিকে, সান্তোসের সংগ্রহ ২১ পয়েন্ট, অবস্থান ১৫ নম্বরে। ম্যাচ শেষে, নেইমার বলেন, ‘আমি লজ্জিত। আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি সম্পূর্ণ হতাশ। সমর্থকদের প্রতিবাদ নিশ্চয়ই স্বীকার করতে হবে, তবে অবশ্যই সহিংসতা এড়ানো দরকার। যারা গালি দেয় বা অপমান করে, তাদেরও অধিকার আছে।’
