পদ্মার তীব্র স্রোতে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে পাঁচ
নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে নতুন করে চার নম্বর ঘাটের কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে। এতে
সাময়িকভাবে ঘাটটিও বন্ধর রাখা হয়েছে। বর্তমানে শুধু তিন নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরি
পারাপার করা হচ্ছে।
এদিকে, পানির তীব্র স্রোতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত
হচ্ছে। স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে সময় লাগছে দ্বিগুণ। ফেরির ট্রিপ সংখ্যাও কমে
গেছে। এতে করে ঘাট এলাকায় তৈরি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। প্রতিটি যানবাহনকে ফেরি
পার হতে দেড় থেকে দুই ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর পন্যবাহী ট্রাক পারাপারে সময়
লাগছে এক থেকে দুইদিন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানায়,
স্রোতের বিপরীতে ফেরি চালাতে আগের তুলনায় দ্বিগুণ সময় লাগছে। আগে যেখানে চার
কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ২৫-৩০ মিনিট লাগত, এখন লাগছে এক ঘণ্টার বেশি। তীব্র স্রোতের
তোড়ে ঘাটে ফেরি ভেড়ানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে
শতাধিক যাত্রীবাহী বাস। এ ছাড়া কিছু প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসও নদী পাড়াপাড়ের
অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। ঘাট এলাকা থেকে মহাসড়কের দুই কিলোমিটার পর্যন্ত পণ্যবাহী
ট্রাকের একটা দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
এ দিকে, ঘাটগুলো রক্ষায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। ঘাট
সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, দ্রুত ঘাট রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পুরো
পাটুরিয়া ফেরিঘাট বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ জানান, ঘাটগুলো রক্ষায়
আপদকালীন কিছু জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে তীব্র স্রোতের কারণে জিও
ব্যাগগুলো সঠিক স্থানে থাকছে না।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম আবদুস সালাম বলেন, স্রোতের
বিপরীতে ফেরি চালানো ও ঘাট রক্ষা করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘাট
সংকটের কারণে সবগুলো ফেরি চালানো যাচ্ছে না। তবে সাধ্যমত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে
যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।