ঢাকা | মঙ্গলবার | ২২শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

পানি নিষ্কাশনের অভাবে বেনাপোল বন্দরে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি

টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণের ফলে বেনাপোল বন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরে এমন অনেক স্থান রয়েছে যেখানে হাটু পর্যন্ত পানি জমে পণ্য খালাসের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে বন্দরের ৯, ১২, ১৫, ১৬ ও ১৮ নম্বর শেড থেকে লোড এবং আনলোড কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। যানবাহন চলাচল এবং নিরাপত্তাকর্মীদের কাজকর্মেও গুরুতর প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।

বন্দর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবের কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানির জোরে জল জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে না পারায় বন্দর ব্যবস্থাপনায় চিন্তার কারণ দেখা দিয়েছে। তবে বন্দরের কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন, রেল্বোর্ড কর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানির সঠিক নিষ্কাশন হচ্ছে না, যার ফলে সমস্যা প্রকট হয়েছে।

অন্যদিকে বেশির ভাগ শেড এবং ওপেন ইয়ার্ড দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়াই তৈরি হওয়ার কারণে নদীর পথে পানি নিষ্কাশনে বাধা দিচ্ছে। বন্দর সড়কের তুলনায় পণ্যসম্ভারগুলো নিচু স্থানে অবস্থিত হওয়ায় বর্ষাকালে সহজেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, যা পণ্যের গুণগত মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

তবে আজ সকালে সেচ যন্ত্র চালু করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামিম হোসেন তথ্য দিয়ে জানান, প্রতি বছরে এই সমস্যা সংঘটিত হয়। বিশেষত রেল বিভাগের ত্রুটিপূর্ণ কার্যক্রমের কারণে বন্দরের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। তবে তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে পাশ্ববর্তী হাওরের সাথে সংযোগ করে ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

বেনাপোল বন্দর এলাকার জনসাধারণ এবং ব্যবসায়ীরা আশা করছেন এই উদ্যোগ তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে স্বস্তি এনে দেবে।