ঢাকা | বুধবার | ৩০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

পার্টটাইম ফুটবলারের বিরুদ্ধে বায়ার্ন মিউনিখের গোল বন্দুক

রোববার রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের ‘সি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ মুখোমুখি হয় ওশেনিয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী অকল্যান্ড সিটির সঙ্গে। এই ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের ফুটবলাররা এক চমকপ্রদ গোল উৎসবের আয়োজন করেন। সাচা বোয়ে, মাইকেল ওলিস, মুসিয়ালা এবং থমাস মুলার গোলের ঝড় তোলে। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের তারকা হ্যারিকেইনের বদলি হিসেবে নেমে ২২ বছর বয়সি জামাল মুসিয়ালা হ্যাটট্রিক করেন।

অকল্যান্ড সিটির জালে গোল করে বায়ার্ন মিউনিখে এটি হয় থমাস মুলারের ২৫০তম গোল। পুরো ম্যাচে বায়ার্ন ১৭বার বলকে গোলবারের আশেপাশে পাঠায়, যেটি তাদের আক্রমণের তীব্রতার প্রমাণ দেয়। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটির পক্ষ থেকে মাত্র একটি শট গোলবারে ঠেকানো হয়েছিল, যা জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার দারুণ রক্ষণাত্মক পারফরম্যান্সে বন্ধ হয়।

এই ম্যাচের মাধ্যমে ইউরোপিয়ান ফুটবল এবং ওশেনিয়া ফুটবলের গুণগত ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠে। ক্লাব বিশ্বকাপে এর আকারেও প্রথমবারের মতো এত বেশি গোল দেখা গেল। বায়ার্ন মিউনিখ এর আগে ১৯৭১ সালে বুন্দেসলিগায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে ১১-১ এবং ২০২১ সালে ব্রেমার এসভির বিরুদ্ধে ১২-০ গোলের বড় জয় করে। তাদের সবচেয়ে বড় জয় ছিল ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমের ডিএফবি কাপে ডিজেকে ওয়াল্ডবার্গের বিপক্ষে ১৬-১ ব্যবধান।

অকল্যান্ড সিটির খেলোয়াড়রা মূলত পার্টটাইম ফুটবলার। তাদের মধ্যে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, একজন বিমা কর্মী, একজন নার্স, একজন কোকা-কোলা বিক্রয় প্রতিনিধি, একজন গাড়ি বিক্রেতা এবং বেশ কয়েকজন ছাত্রও আছেন। এই পেশার ওপরে তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্স ফুটবল বিশ্বকে দীর্ঘসময় মনে থাকবে।